নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আগামী সংসদ অধিবেশনে সংশোধিত শ্রম আইন পাস হবে। প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন, এটা তারই প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ঢাকা গেট খুলছে আজ
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চ মাসে আইএলও’র (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) গভর্নিং বোর্ডের মিটিং হবে। আমাদের যে অগ্রগতি এবং শ্রম আইনের ব্যাপারে কি কাজ করছি, তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকের মিটিংটা ছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। তিনি এ মন্ত্রণালয়কে কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন, তারই প্রতিফলন এটা।
আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করবো। ব্রিফ করার পর সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সাথে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারবো না।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ হবে
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানে যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি। আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করবো।
স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এর জবাবে আনিসুল হক বলেন, শ্রমিক ও এমপ্লয়াররা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৫
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্যবসায়ীদের বৈঠক ছিল। সেখানে তারা শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছে।
অন্য দেশ শ্রমিকদের জীবনমান ও কর্মপরিবেশ নিয়ে কথা বলে। আইনমন্ত্রী হিসেবে আপনি মনে করেন কি না শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে? জবাবে তিনি বলেন, দেশে একটা দুর্ঘটনার পর যে মনোযোগ এই সরকার শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ উন্নত করার জন্য দিয়েছে, অন্য দেশে এরকম নজির দেখানো খুব কঠিন।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশের জায়গায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে ও উন্নত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
সেই জায়গায় যারা এটা নিয়ে কথা বলছেন, আমার মনে হয় তাদের এ ব্যাপারে প্রথমে ২০০৩-২০০৪-২০০৫ সালে কি অবস্থা ছিল, সেটার চিত্র দেখে ২০১২-২০২৩ সাল পর্যন্ত কি উন্নতি হয়েছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনা করে তাদের কথা বলা উচিত।
উল্লেখ্য, গত সরকারের শেষ সময়ে সব প্রক্রিয়া শেষ করে সংশোধিত শ্রম আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে গেলেও রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন দেননি। এ আইনের মধ্যে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায় সেটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি।
সান নিউজ/এনজে
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            