নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যারা মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে, তারা কোন গণতন্ত্র দেবে? এটা মানুষ বোঝে বলেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয় না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতি অসন্তুষ্ট
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ৩ বছর সাত মাস সময় পান। এর মধ্যেই দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আদায় করেন।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ
এতো অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতিটা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাবতেও পারেনি। যারা বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে, এটা তো বটমলেস বাস্কেট হবে, তারা এই উন্নয়নটাকে মেনে নিতে পারেনি।
একটা দেশ এতো দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের ওপর উঠতে পারে, এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল।
বিদেশে গেলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পায়। এই সম্মানটা দিতে পারে না আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর দোসর যারা ছিল, এরাই তাদের প্রেতাত্মা হয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে হত্যা করে যাচ্ছে, হত্যার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: জাপার সাথে আ’লীগের বৈঠক আজ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল। একবার নয়, ২ বার বিদায় নিতে হয়েছিল। ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আমি বলেছিলাম, গ্যাস পাবে না।
আল্লাহ-তায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নাই।
তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন করবে। গণতন্ত্র বানান করতে পারে? যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেললাইন উপড়ে ফেলে, তারা পরাজিত শক্তির দোসর। এদেরকে না বলুন। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। শান্তিতে বাস করবে, উন্নত জীবন পাবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
সান নিউজ/এনজে