নিজস্ব প্রতিবেদক: হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামাপূজা কাল (রোববার ১২ নভেম্বর)। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ৭০ দিনে কুরআন মুখস্ত!
হিন্দু পুরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন- শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়া।
কালীপূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করাকে বলা হয় দীপাবলি।
আরও পড়ুন: নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাতে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
লোক বিশ্বাস অনুযায়ী- কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
শ্যামা পূজা- ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির , রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তাগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে।
সান নিউজ/টিও