নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী, তারা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উর্বর ভূমি মনে করে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কোম্পানির অর্থ জব্দ
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা কৃষি, গ্যাস, অটোমেবাইলস খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা আমাদের সয়াবিনের উৎপাদন ও রপ্তানিতে আগ্রহ জানিয়েছে। ভিসা কোম্পানি এসেছিল, তারা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে।
আরও পড়ুন : তাপমাত্রা কমার আভাস
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, তারা বলেছে - সামনে বাংলাদেশে একটি কনজ্যুমারসের বড় মার্কেট হবে ৷ এখানেও তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা মনে করে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উর্বর ভূমি। তারা মেট লাইফ সব বিভিন্ন ইনসুরেন্সেও বিনিয়োগে আগ্রহী ৷ ভবিষ্যতে তারা আরও বেশি বিনিয়োগ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন ব্যবসাটা ব্যর্থ হয়েছে, আপনারা বলেন? এ দেশে বিদেশি বিনিয়োগ, যে কোনো খাতেই আসুক না কেন, কোনটা ব্যর্থ হয়েছে যে টাকা নিয়ে খালি পকেটে তারা চলে গেছেন?
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, বাংলাদেশ নজিরবিহীন সুযোগের দেশ। এখানে বিনিয়োগ করে কখনো লোকসান করবেন না। লোকসানের কোনো সুযোগ নেই। এখন যদি বিনিয়োগ বা ব্যবসা না করে টাকা পকেটে নিয়ে ঘোরেন, সেটা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু এটা ব্যবসায়ের জায়গা’।
আরও পড়ুন : ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা নাকি ১২ বছর ট্যাক্স হলিডে চেয়েছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এভাবে আইন না করে দিয়ে একেক খাতের জন্য একেক রকম ট্যাক্স হলিডে...। যেটা যেটা প্রয়োজন, চাহিদাটা আগে তুলে ধরেছি। মেড ইন বাংলাদেশ— এই ধারণাটা তারা যদি সম্প্রসারিত করেন, তাহলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে, যারা বিনিয়োগ করবেন, তাদেরও ভালো হবে। এখন আমরা, এই ধারণাটার মধ্য দিয়ে আমরা চাই, এ দেশে দ্রুততার সঙ্গে কর্মসংস্থান খাতে উন্নয়ন করতে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, যখন আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করি, তখন কত ছিল মূল্যস্ফীতি, ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে একবার আমাদের ৯ শতাংশ হয়েছে। সেখান থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হচ্ছে। এই দূরাবস্থার মধ্যেও মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশকে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
অর্থমন্ত্রী বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। দামতো বাড়ছে? কারণ যুদ্ধ যে শুরু হয়েছে, সেটা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিন আপনি অর্থনীতি হিসাব মতো, সময় মতো চালাবেন। তারপরও অনেক ভালো চলছে। সবাই বলে বাংলাদেশ সবার থেকে ভালো চলছে। আর আপনারা খারাপটা কামনা করেন কেন? ভালো কামনা করেন।
সান নিউজ/জেএইচ