নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জনগণই আমার মূল শক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন মা-বাবাকে হারানোর পর যখন এসে এ দেশের এয়ারপোর্টে নেমেছিলাম, তখন থেকেই বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার।
আরও পড়ুন: সিইসির সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আওয়ামী লীগই পারে এ দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে, সেটা প্রমাণ করেছি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়িতে শেখ হাসিনা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শোষিত, বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সারাজীবন কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: একাদশ সংসদে ২৯০ এমপির শপথ বৈধ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিদেল কাস্ত্রো, ইন্ধিরা গান্ধী সবাই সাবধান করেছিলেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছিলেন, এ দেশের সবাই আমার ছেলের মতো। ওরা আমাকে কেন মারতে যাবে?
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা ইতিহাস থেকে তার নামই মুছে ফেলতে চেয়েছিল, অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে, সেই ‘জয় বাংলা’ নিষিদ্ধ করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের যে ভাষণের মাধ্যমে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, যে ভাষণ মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে, সেই ভাষণ নিষিদ্ধ করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টে আমি আমার মা-বাবা হত্যার বিচার চাইতে পারিনি। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, জিয়াউর রহমান আমাকে দেশে আসতে বাধা দিয়েছে। রেহানার পাসপোর্ট রিনিউ করতে দেয়নি। দেশে আসলে আমাকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় বসে মা-বাবার জন্য দোয়া করেছি।
সান নিউজ/এইচএন