নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫২তম জন্মদিন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ গেটেই আ.লীগের সমাবেশ
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সাথে জার্মানিতে ছিলেন তিনি। পরে মায়ের সাথে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে যান জয়। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতেই।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ কাল
সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ৪৫ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার!
লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় ২০১০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান। ঐ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে। এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
আরও পড়ুন: সন্দেহের দ্বন্দ্বে বিএনপি-জামায়াত
২০০৭ সালে তিনি ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ আয়োজিত ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন জয়। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় নির্বাচনে অংশ নিবেন মোদি
বর্তমানে তিনি দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন জয়।
বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করা জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ২৯০ এমপির বৈধতা নিয়ে শুনানি মুলতবি
দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, সজীব ওয়াজেদ জয় শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এ দুইয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেট মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন পর্যায়ের সাথে সাথে চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে