জেলা প্রতিনিধি : কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
টানা ৩ বছর ধরে চলমান এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগামী সোমবার (৫ জুন) থেকে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে।
এর প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। এবার দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। জুন মাসের শেষে কয়লা আসলে আবার পুরোপুরিভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা হবে।
এদিকে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পর থেকে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন : বিএনপি লুটপাটের চ্যাম্পিয়ন
পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। চালু হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকবে। তবে ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে।
আগামী ২৫ জুন প্রথম কয়লাবাহী জাহাজ পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আসবে। ফলে ২১ দিনের আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন : ৪ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
২০২০ সালে চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)।
চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন : আফছারুলের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি
এর আগে ডলার সংকটে কয়লা না কিনতে পারায় রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রও ২ দফা বন্ধ হয়েছিল।
সান নিউজ/এনজে