সান নিউজ ডেস্ক: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ মামলার বাদী পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সঙ্কটে ফায়দা লুটতে চায় বিএনপি
মামলার অন্য ২ আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।
মিতু হত্যা মামলা নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে কলাবাগান থানায় এ মামলা করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নেবে ইসি
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধানের পক্ষে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মামলাটি দায়ের করেন।
পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ এবং প্রচার করা, মিতু হত্যা মামলার মোড় ঘোরানোর চেষ্টা, সাম্প্রদায়িক উসকানি, পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন তথা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেই ইউএনওকে বদলি
ইলিয়াস হোসাইনের পোস্ট করা ভিডিওতে বলা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন বনজ কুমার। এছাড়া স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তাকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগও রয়েছে।
ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। এই মামলার পর কারাগারে বাবুল আক্তারের সেলে পুলিশ তল্লাশি করে বলেও অভিযোগ করা হয়। তবে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সান নিউজ/এমআর