নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢামেক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ মা ও ছেলেসহ দুইজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় দগ্ধ জেসমিনের মেয়ে মাহিনুর আক্তার (৭) হাসপাতালে আনার পথে এম্বুলেন্সে মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ মা-ছেলে হলেন, মা জেসমিন বেগম (২৮) ও তার ছেলে মোঃ তামিম হোসেন (১১)। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা ছাত্র। দগ্ধ জেসমিন বরগুনা জেলার সদর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ খলিলুর রহমানের স্ত্রী।
এদিকে, দগ্ধ জেসমিনের মেয়ে মাহিনুর আক্তারের মৃতদেহ কেরানীগঞ্জ শুভাবাঢ্যা উত্তরপাড়ায় নানীর বাড়িতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৃত শিশুটির মামা মোহাম্মদ মামুন মিয়া। তিনি জানান, গত ১২ দিন আগে জেসমিনের নানী জয়তুননেছা শারীরিক অসুস্থতায় মারা যাওয়ায় বরগুনা সদর থেকে তারা ঢাকার কেরানীগঞ্জে এসেছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জ থেকে বরগুনায় যাওয়ার লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হন।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন জানান, দগ্ধ জেসমিন বেগমের শরীরে ১২ শতাংশ ও তার ছেলে মোঃ তামিমের শরীরে ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
এছাড়া লঞ্চে আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৫জন চিকিৎসকের একটি দল ঔষধপত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকেলে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন।
এদিকে, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকের পরিবার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্বজনদের খোঁজে দাঁড়িয়ে আছেন। অপেক্ষায় থাকা জেসমিন জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বরিশালে যাওয়ার লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার বোন তাসলিমা ও তাসলিমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের খোঁজে শেখ হাসিনা বার্ন এসেছি। তবে তাদের এখনও পাওয়া যায়নি। হয় তো তারা রাস্তায় অন্য কোন হাসপাতালে রয়েছেন অথবা হাসপাতাল আসার পথে বলেও রয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি।
সান নিউজ/মোস্তাফিজ/এমকেএইচ