জাতীয়

সেবা দিন আগে, সেবা পেলেই কর দিবে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রতিনিধিরা আগে সেবা দিলে পরে কর আদায় সম্ভব। কিন্তু আপনেরা সেবা না দিয়ে কর আদায়ের চিন্তা করেন। এটা ঠিক নয় বলেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ স্থানীয় সরকারের নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার সেমিনারে এই কথা তিনি বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষ তথন কর দিবে যখন দেখবা মানুষ সেবা পাবে। সেবা না পেলে কেউ কর দিবে না। ফলে স্থানীয় সরকারের সব গুলো সংস্থা আগে জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ২৪ ঘন্টা কাজের মনমানুষিকতা থাকতে হবে। জনসেবার মানুষিকতা না থাকলে আপনারেরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার দরকার নাই।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সময় এসেছে এখন নিছ থেকে সব কিছু ঠিককরা। প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করতে হবে ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদ তারপর জেলা পরিষদ শক্তিশালী করতে হবে। এই শক্তিশালির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যা এবং প্রকল্পগুলো স্থানীয় সরকারের পরিষদ কাজ করবে। বিশেষ করে দেখা যায়, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ কোন জবাব দিহি করে না। তারা তাদের মত কাজ করে। ফলে কোন সমস্যার সমাধান প্রকৃত সমাধান হয় না।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের যে আইন আছে সে যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দিন দিন জটিলতা বাড়ছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলবো আপনারে আপনাদের জায়গা থেকে সৎ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে না তাকিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেন। আপনাদের ভাল কাজের বছর শেষে মূল্যালন করবও।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্থানীর সরকারকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার মধ্য নিয়ে আসতে হবে।
তারা আরও বলেন, স্থানীয় সরকারের সব সেবা শক্তিশালীর পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে সেবা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সেবা গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবা দিতে হবে।

সভায় বক্তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিভিন্ন সুপারিশ চিহ্নিতকরণ বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ করা হয়।

সুপারিশ গুলো হলো:

১. সংস্কারপন্থী, বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তাদের সমস্বয়ে দ্রুত একটি টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে যারা স্থানীয় সকালের সমস্যা চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়
সংস্কার আনয়নে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করবেন।

২,স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠাপ্ত করে গবেষকদের সমন্বয়ে একটি নলেজ এবং ডকুমেন্টেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট
কেডিএমইউ) প্রতিষ্ঠা করা যেতে প্রস্তত্ব হিসেবকারের কাজ করবে এবং স্থানীয় সরকার বাজারের এজেন্ডা নির্বাচনে সহায়তা করবে। এটি
জয় সরকার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ধারণ কাল হিসেবে কাজ করবে এ গবেষণা সেল স্থানীয় সরকার বিশেষজ, শিক্ষাবিদ এবং অন্যান্য অংশীজনদের
সাথে নিয়মিত যোগাযোগপূর্বক স্থানীয় সরকার সংস্কারে প্রয়ােজনীয় সভা, সেমিনার, সম্মেলন ইত্যাদি আয়োজন করবে।

৩. স্থানীয় সরকার সংস্কার এজেন্ডা নির্বাচিত এবং চূড়ান্ত হলে, সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও তার অগ্রগতি মনিটরিং করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি স্থায়ী সংস্কার ব্যবস্থাপনা ইউনিট” প্রয়ােজন হবে, যা নলেজ এবং ডকুমেন্টেশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের (কেভিএমইউ) সাথে অনিষ্ঠভাবে কাজ করবে । এই সংস্কার ব্যবস্থাপনা ইউনিট” স্থানীয় সরকার উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
s, স্থানীয় সরকারের গুরুত্ব অনুধাবন, সংস্কার কার্যক্রমে গতি আনয়ন এবং অনুপ্রেরণা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস” নামে একটি বিশেষ দিন নির্ধারণ করা যেতে পারে । এই দিনে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিষয়ক বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়ােজন করা হবে।

৫ উপজেলা পরিষদের অধীনে ১৭টি হস্তান্তরিত বিভাগগুলাের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন । উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর অনুচ্ছেদ ২৪ এবং ৩য় তফসিল অনুসারে ১৭টি সরকারি বিভাপ উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ১৭ই জুন ২০১০ তারিখের প্রজ্ঞাপন
(স্মারকলিপি নং-এলজিডি/উপ-২/সি -৪/২০০৯ /১৪২২) এর মাধ্যমে হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের Terms of Reference প্রদান করা হয়। সুতরাং আইন অনুযায়ী, ১৭টি হস্তান্তরিত বিভাগকে উপজেলা পরিষদে জবাবদিহি করা দরকার কিন্তু বিভাগগুলাের স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের দিকে অবনত হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ের ঘাটতি দেখা যায়।

৬. উপজেলা পরিষদে উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন নিয়মতিকরণ করা প্রয়োজন । এর ফলে উপজেলা পরিষদ বাজেট ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় নাগরিকের মতামত প্রদানের পথ সুগম হবে এবং ১৭টি বিভাগের বাজেট সম্পর্কে উপজেলা পরিষদের ধারণা রাখার সুযোগ তৈরি হবে।

৭. আইন ও বিধি অনুসারে উপজেলা পরিষদের জনবল নিয়োগ প্রদান করা প্রয়ােজন। উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ৩৪ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সকল উপজেলা পরিষদে সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (AAO) থাকবেন যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এর মাধ্যমে মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালা উদ্দিন আহম্মেদ, ইউএনডিপি এই প্রতিনিধি, মোজাম্মেল হক, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথেল কাডসহ দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা।

সাননিউজ/জেআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মুন্সীগঞ্জে কালবৈশাখীর আঘাত

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: এ বছ...

গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজ...

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ভোলায় কর্মসূচি 

ভোলা প্রতিনিধি: স্বাধীন ফিলিস্তিন...

ইউরোপ সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৫ বছর পর ইউরোপ...

ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্...

ভূঞাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে ইউএনও'র মতবিনিময়

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাংবাদিকদের সা...

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয...

ভালুকায় ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ২

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় তীর কোম্পানি...

বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত

জেলা প্রতিনিধি : বান্দরবানেরে কেওক্রাডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অ...

ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফের বাংলাদেশে আসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা