নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এছাড়া ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উত্তরবঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চল। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে ভূমিকম্পে দেশের কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
জানা গেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের হাখা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম ও ভারতের মিজোরামের থেনজল থেকে ৭৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। ভূপৃষ্ঠের ৪২ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে, ভূমিকম্পের মাত্রা ও উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয়।
এছাড়া ইউরোপিয়ান সিসমোলজিক্যাল আর্থকোয়াক সেন্টার (ইএসএমসি) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
অন্যদিকে, ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ত্রিপুরার অমরপুরের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ১৮১ কিলোমিটার, ত্রিপুরার বেলোনিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ১৮৮ কিলোমিটার, মণিপুরের ময়রাঙের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ২০০ কিলোমিটার, ত্রিপুরার ধরমনগরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ২০৯ কিলোমিটার এবং মণিপুরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ২১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সেই উৎসস্থল। মিজোরামের থেনজলের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ভূমিকম্পের উৎসস্থলের দূরত্ব ছিল ৭৩ কিলোমিটার।
সান নিউজ/এমকেএইচ