নিজস্ব প্রতিবেদক: (অব.) মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্যের তৃতীয় দফায় আরও দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিপক্ষের জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে আদালতের কার্যক্রম।
মঙ্গলবার ( ২১ সেপ্টেম্বর ) আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রনধীর দেবনাথ।
এ সময় মামলার অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলাম আদালতকে বলেন, মেজর সিনহাকে টেকনাফ শামলাপুর উত্তর মারিশবুনিয়া এলাকার ট্যুইন্না পাহাড়ে ডাকাত হিসেবে সাব্যস্ত করে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিলেন আসামিরা।
সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিন মারিশবুনিয়া উম্মুল কোরান মসজিদের মাইকে ট্যুইন্না পাহাড়ে ডাকাত এসেছে বলে বারবার ঘোষণা দিলে মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ওই সময় তাদের বাধা দেন এবং জানান যে তারা ডাকাত নয়, তারা সেনাবাহিনীর লোক। কিন্তু আসামিরা তা শুনেনি।পাহাড়ে হত্যা করতে না পারলেও পরবর্তী বাহারছড়া শামলাপুর চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ছাড়াও মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রনধীর দেবনাথ আদালতে জবানবন্দি ও সাক্ষী দিয়েছেন।
এদিকে আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে হত্যার বর্ণনা ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মারাত্মক গড়মিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলায়ে কারাগার থেকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ ১৫ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
সান নিউজ/এনকে