নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার (২২ আগস্ট) থেকে বাংলাদেশ ও কলকাতার মধ্যে যে ফ্লাইটগুলো চালু হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। এখনও দুই দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে পুনরায় ফ্লাইট চালুর বিষয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। ফলে এখনই ফ্লাইট চালু হচ্ছে না।
এদিকে এই ঘোষণার ফলে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং প্রাইভেট হাসপাতালগুলো হতাশ হয়েছে। এসব হাসপাতালের রোগীদের একটা বড় বাংলাদেশ থেকে আগত; মহামারি ও লকডাউন নিষেধাজ্ঞার সময়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা ৮-১০% হ্রাস পেয়েছে বলে জানানো হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
বিমান বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা রোববার থেকে ভারতে পুনরায় ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করেছিলাম। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার ঢাকা-দিল্লি রুটে এবং রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট চালু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাইনি। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আমরা নতুন তারিখ ঘোষণা করব।
ভারতীয় এয়ারলাইনস স্পাইসজেট এবং ইন্ডিগোরও যেসব ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়ার কথা ছিল তা এখন বাতিল করা হবে। স্পাইসজেটের ২৬ আগস্ট থেকে এবং ইন্ডিগোর তার পরদিন থেকেই ফ্লাইট শুরু করার কথা ছিল।
কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র বলেন, প্রথম দিককার ফ্লাইটগুলোতে আসবেন এমন অন্তত ২০ জন রোগীর এপয়েন্টমেন্ট নির্দিষ্ট করা ছিল। আমরা ভেবেছিলাম শীঘ্রই আবার আগের মত রোগীরা আসতে শুরু করবেন। ফ্লাইট চালুর তারিখ পেছানোয় এসব রোগী এবং আমাদের-উভয় পক্ষের ক্ষতিসাধন হলো; তারা হয়তো এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে চিকিৎসা সেবা খুঁজবেন।
মহামারির আগে এই হাসপাতালের ১৫ শতাংশ রোগীই ছিল বাংলাদেশের; হাসপাতালের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ৮-১০% এ তাদের ভূমিকা ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সান নিউজ/এফএআর