জাহিদ রাকিব
কোরবানির ঈদে রাজধানীতে বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে নানান দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। রাস্তার এখানে-সেখানে বর্জ্য রেখে দেয়া, সময়মত পরিস্কার না করাসহ দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস উঠে নাগরিকদের। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমীন বুধবার দুপুরে সান নিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, কোরবানির প্রথম দিন ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে। আসছে কোরবানির ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মেয়রের উপস্থিতিতে বোর্ড মিটিং সম্পূর্ণ হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারি ও হালকাসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখতে ৩০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিঁটানো হবে। আর এই কর্মযোগ সম্পূর্ণ করবে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক।
তিনি বলেন, আমাদের সেবাদানকারী যেইসব প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সমন্বয়ে আমাদের পরিছন্নতাকর্মীরা কাজ করবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্টস্থানে পশু জবাই করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা এবার কোরবানি বর্জ্য অপসারণ করে জীবাণুনাশক করার জন্য ৩০টন ব্লিসিন পাউডার পাশাপাশি ১৮০০ লিটার থেকে স্যাভলন পানি দিয়ে শহরকে জীবাণুমুক্ত করবো।
তিনি আরও বলেন, এবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও বেশী গতিশীল করার জন্য আমরা নগর ভবনের নিজস্ব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবো। এখানে নগরবাসী তাদের এলাকার আঙ্গিনা পরিস্কার না করলে তারা হট লাইনে ফোন দিলে আমরা তা সাথে সাথে পরিস্কার করার ব্যবস্থা করবো।
কোরবানির পর যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, আমরা তা দুপুর ২টা থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এবারও আমরা ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারবো। পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ ছুটিতে থাকবে না।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর