নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ নারী শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়েছেন এক যুবক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হাসেম ফুডসে আগুন লাগার পর ওই ভবনের পঞ্চম তলায় থাকা ২৫-৩০ জন শ্রমিককে দড়ি দিয়ে ছাদ থেকে নিচে নামিয়ে আনেন তাজুল ইসলাম। যেসব শ্রমিককে তিনি নিচে নামান তাদের কেউই আহত হননি।
তবে শ্রমিকদের ছাঁদ থেকে নামাতে গিয়ে তাজুল ইসলাম নিজেই কিছুটা আহত হন। তাজুল ইসলাম ওই ভবনের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিপ্লোমা) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জানান, বিকাল ৫টার দিকে তিনি ওই ভবনের পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চারদিকে ছুটতে থাকেন।
এ সময় আগুন লাগার খবরে পঞ্চম তলার শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে চলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওপরে দড়ি পাঠালে তাজুল ইসলাম একাই ২৫-৩০ জন নারী শ্রমিককে নিচে নামিয়ে আনেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই কাজটি করেছি। আমি নিজেই এখন একটু অসুস্থ। তাই আর আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। বৃহস্পতিবার বিকালে সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুরুতে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে।
শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সকালে ভেতরে আবার আগুন বেড়ে যায়। সকাল সোয়া ১০টার দিকেও ছয় তলা কারখানা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার সামনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রথম দিকে আগুনে পুড়ে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। এর মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কারখানার আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে আরও ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
সাননিউজ/ জেআই