নিজস্ব প্রতিবেদক : হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে থাকা প্রতিটি করোনা রোগীর জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। আর একজন সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয়াদি’ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় করোনা রোগীর জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড আছে। এটা আমরা রাতারাতি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে।
ভারতের ভ্যাকসিন অনিশ্চয়তায় চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘যথাসময় ভারতের করোনা টিকার না পাওয়ায় টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা ভারতের টিকার ওপর নির্ভর করে বসে নেই। ইতোমধ্যে রাশিয়া-চীনের সাথে টিকার জন্য যোগাযোগ করেছি। চীন পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের করোনা হাসপাতালগুলোতে সাত হাজার রোগীর চিকিৎসা দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রোগী বেড়ে যদি ২১ হাজারে পৌঁছায় তাহলে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হবে। এখন যেভাবে হিমশিম খাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। অথচ ভারতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাশুল দিচ্ছি। প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন। আক্রান্তের হার গত বছরের তুলনায় অনেকগুন বেড়েছে। তাই এই সময়টিতে ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
যথাসময় ভারতের করোনা টিকার না পাওয়ায় টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতের কাছে তিন কোটি টিকা চেয়েছিলাম। চাহিদা অনুযায়ী টাকাও দিয়েছি। কিন্তু এখন তারা আমাদের টিকা দিচ্ছে না। সরকার এবং বেক্সিমকো এই বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে কবে টিকা আসবে তা নিশ্চিত নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতের টিকার ওপর নির্ভর করে বসে নেই। ইতোমধ্যে রাশিয়া-চীনের সাথে টিকার জন্য যোগাযোগ করেছি। চীন পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে।’
সান নিউজ/এসএম