নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দায়ে বিচারিক আদালতে দেয়া ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত।
এই রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছে, ‘কোটালীপাড়ায় বোমা হামলার প্রচেষ্টার মাধ্যমে মূলত আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার পরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ছিল তারই অংশ। সেদিন দুটি বোমা ফাটানোর পরিকল্পনা ছিল। আর সেই বোমা দুটি বিস্ফোরণ ঘটলে ওই স্থানে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো।’
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেয়।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেয়া এই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে ইতিহাসে আরও একটি কলঙ্কজনক কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা।’
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সমগ্র জাতিকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। সে অবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার উন্নত দেশ গঠনের চেষ্টা শুরু করলে তার (শেখ হাসিনা) জনপ্রিয়তাকে ধ্বংস করতে ভয়ঙ্করভাবে চেষ্টা চালালো হয়। এটি দেশের জন্য কালো, জঘন্য ও বর্বরোচিত অধ্যায়।’
এতে বলা হয়, সেদিন কোটালীপাড়ায় বোমাগুলো ফুটলে বোমা পুঁতে রাখার স্থান থেকে চারপাশে এক কিলোমিটার ধ্বংসলীলায় রূপান্তরিত হতো। মাটির ভূগর্ভে ৯ ফুট ৫ ইঞ্চি গভীরে ক্ষত সৃষ্টি হত এবং ওপরে ৩৪ ফুট পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করত। সব মিলিয়ে ওই হামলা সফল হলে চারপাশ ধ্বংসলীলায় পরিণত হতে পারত।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান খান শাহীন, মো. শাহীন আহমেদ মৃধা, আশিকুজ্জামান বাবু, শাফায়াত জামিল ও সৈয়দা জাহিদা সুলতানা রত্না।
আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, মোহাম্মদ আহসান, মো. নাসির উদ্দিন ও অমূল্য কুমার সরকার (স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী)।
সান নিউজ/আরআই