জাতীয়

এএসপি আনিসুলের ঘটনা সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড : সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। এটা একটা সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ৮-৯ জন লোক মিলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করছেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কেউ মাথায়, কেউ বুকে আঘাত করছেন। কাউকে আবার এএসপি আনিসুল করিমের হাত বাঁধতে দেখা গেছে। তারা সবাই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার, এখানে কেউ চিকিৎসক ছিলেন না। তাই আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড।

ডিসি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে উপস্থিত ১০ জনের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান। তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশের ৩১তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুলকে তো আর ফিরিয়ে আনতে পারবো না। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, এএসপি আনিসুল বরিশালে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে তিনি বেশ চুপচাপ থাকছেন লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা তাকে শ্যামলীতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। কিন্তু কি এমন ঘটনা ঘটলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলো ?

আনিসুলকে ভুইফোঁড় সাইনবোর্ডধারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাদের ভূমিকা ছিলো, তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে ডিসি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। গ্রেফতারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে। মাইন্ড এইড হাসপাতালটিতে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনও বৈধ কাজগপত্র দেখাতে পারেননি। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই তাদের। কোনো চিকিৎসক ছাড়াই নামধারী এ হাসপাতালটি পরিচালনা করা হচ্ছিলো। হাসপাতালটির পরিচালনা পর্ষদের কেউ ডাক্তার নন।

হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদসহ এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

সান নিউজ/এসএ/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা