নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই বহুল কাঙ্ক্ষিত “পদ্মা সেতু” প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এরই ফলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে বইছে উৎসবের আমেজ। সর্বশেষ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ করতে মোট বরাদ্দ থেকে ১,৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৈনন্দিন বাজারে আগুন
শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এই বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, সাম্প্রতি নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে আমাদের এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়েছে। এই দিকে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা সরে যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় আমরা এই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। দেশের মানুষকে একটি সুন্দর সেতু তৈরি করে দিতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সর্বশেষ বরাদ্দ থেকে ১,৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। এখন আমরা এই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দেব।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, আমাদের জন্য এটি অনেক বড় একটি প্রকল্প। এতে আমাদের কিছু ক্লেইম ছিল। এদিকে নদীশাসন ও কারিগরি কিছু কাজ বাকি ছিল। এই ধরনের বড় কাঠামো তৈরির পরে ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ড থাকে। এ সময় অবকাঠামোর ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে (যেমন কোথাও রং উঠে গেছে, কোথাও কিছুটা কাজ বাকি থেকে গেছে ইত্যাদি) তা সংশোধন করা হয়েছে। এই কাজে ঠিকাদারেরও বেশ কিছু ক্লেইম ছিল। যেই কারণে বারবার আমাদের এর জন্য মিটিং করতে হয়েছে। অর্থাৎ সবগুলো কাজ এ সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের কাজ এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। গত (৩০ জুন) এই কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ এই অবকাঠামো, আমাদের অহংকার, গর্ব, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক “পদ্মা সেতু” নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময় ব্যয় হয়েছে ৩২,৬০৫ কোটি টাকা।
সান নিউজ/এমএইচ