সান নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে, এমন তথ্য সরকারের কাছে আছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে তলব করল কংগ্রেস
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে গ্রান্ড বলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘দ্যা মাইন্ড বিহাইন্ড দ্য মিরাকলস: শেখ হাসিনা লিডস ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে বলে দলটির অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্রেপ্তার হয়রানি করছে সে রকম বিষয়গুলো আছে। কেমন আছে? আপনি মাদকের সঙ্গে জড়িত, সন্ত্রাস খুনের মামলা আছে। এখন এই সমাবেশ উপলক্ষে কে কী মাঠে নিয়ে আসে, আর তাদের তো আগুন সন্ত্রাসের পুরোনো ইতিহাস আছে।
আরও পড়ুন: কিডনি জটিলতায় ১৩৩ শিশুর মৃত্যু
‘সন্ত্রাসীদের তারা জড়ো করেছে সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। সেই জন্য খোঁজ পেলে তল্লাশি তো করতেই হবে। আবার লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা বাঁধছে, এটা কিসের আলামত। আমরা জনগণের কাছে এর বিচার চাই।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছে বলে বিএনপির অভিযোগ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা তো চট্টগ্রামেও ১০ লাখ লোকের কথা বলেছিলো। বাস্তবে কতো হয়েছে? আমি তো তাও এক লাখের কাছাকাছি বলেছিলাম। কাজেই তাদের সংখ্যাতত্ত্ব হিসেব করে কোনো লাভ নেই। বিএনপি এমন একটা দল যে তাদের সমাবেশের কথা শুনলে যদি কেউ ভয় পায়, বাস মালিকরা যদি চালাতে না চায় আমরা কী করতে পারি। সরকার তো এটা বন্ধ করেনি।’
আরও পড়ুন: মহামারীর চেয়েও সড়কে মৃত্যু বেশি
এ সময় পাল্টা প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে পরিবহন শ্রমিকরা মাঝে মাঝে যে ধর্মঘট করে আমাদের কী করার আছে। তারা সরকার বিরোধী ধর্মঘট অবরোধ করেনি? বিএনপি কর্মসূচির জন্য জানমালের হয়তো ভয় পাচ্ছে। সেই কারণে পরিবহনের মালিক শ্রমিকরা নিজেরাই বন্ধ করছে। বেসরকারি মালিকদের ওপর আমাদের কোনো হাত নেই।’
ডিসেম্বরে রাজপথ দখলের বিষয়ে বিএনপির হুমকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা রঙ্গিন খোয়াব। অচিরেই কর্পুরের মতো উড়ে যাবে। ডিসেম্বর এলে খোঁজই থাকবে না তাদের। তখন রাজপথ বিজয়ের চেতনায় উজ্জীবিত থাকবে। বিজয়ের মাস বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের যে চেতনা সেই চেতনা বিএনপি ধারণ করে না। কাজেই ডিসেম্বর এটা আমাদের মাস। যারা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি তাদেরই মাস। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও ধারণ করে না।’
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে নোয়াখালীতে মিসরীয় তরুণী
এর আগে গত এক যুগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন সেই বিষয়ে ডকুমেন্টরি প্রদর্শন ও বক্তব্য রাখেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ভাইকে বেঁধে বোনকে গণধর্ষণ
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও উপ কমিটির সদস্য সচিব ড. শাম্মী আহমেদ।
সান নিউজ/এনকে