নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ২৫ মাস কারাভোগের পর শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা 'ফিরোজা'য় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন। এরপর ৪টা ২৫ মিনিটে রওনা দেন ফিরোজার দিকে।
বেগম জিয়া রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় সরাসরি ফিরবেন বলে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।
২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসের মঈনুল রোডের বাসভবন ছেড়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় ওঠেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। ওই বছরই গুলশান ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর ফিরোজা নামের এ বাড়িটি ভাড়া নেন খালেদা জিয়া।
২০০১-২০০৬ পর্যন্ত খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের ছেলের ওই বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর সংস্কার করে ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল ভাইয়ের বাসা ছেড়ে ওই বাড়িতে ওঠেন তিনি। দুই বছর এক মাস পর আবার তিনি সেই বাড়িতেই উঠতে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'খালেদা জিয়ার সাজা ছয়মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।' তার এ ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নড়েচড়ে বসেন।
যারা এতদিন অলস সময় কাটাচ্ছিলেন, তারা সবাই চাঙা হয়ে ওঠেন। শুরু হয় ধোয়ামোছার কাজ। এরপর রাত ১১টা নাগাদ অনেকটা প্রস্তুত হয়ে যায় বাড়িটি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ওই বাড়িতে গৃহকর্মী ছাড়া আর কেউ বসবাস করেননি। তবে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি মাঝে মধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় এলে উঠতেন ওই বাড়িতে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ভবন থেকেই পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেখান থেকে গত বছরের ১ এপ্রিল তাকে নিয়ে আসা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। এতদিন তিনি কারাবন্দী অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।