ভোলা প্রতিনিধি: আজ ভোলা মুক্ত দিবস। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ভোলায় দিবসটি পালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ রুহুল আমিন’র মৃত্যু দিবস
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও ভোলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি ব্যান্ডের তালে তালে প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের অংশগ্রহণে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামন।
আরও পড়ুন: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’র জন্মদিন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রধান নির্বাহী কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মামুন অর রশিদ, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো. অহিদুর রহমান ও জেলা তথ্য অফিসার নুরুল আমিনসহ ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী।
ওই ভবনের ২ টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষকে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হতো। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি, যেখানে শতশত মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আ. ন. ম. বজলুর রশীদ’র জন্মদিন
ভোলার দেয়ুলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাক সেনাদের মনোবল ভেঙ্গে যায়।
ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোর রাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালী মুক্ত দিবস আজ
পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাক সেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়। পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা।
এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ভোলা জেলা।
সান নিউজ/এনজে