ঐতিহ্য ও কৃষ্টি

পছন্দ হলেই পালানো যেখানে বৈধ

সান নিউজ ডেস্ক: লিভ-ইন বিষয়টিকেই আধুনিক সমাজের কুফল বলে মনে করেন একটা বড়ো অংশের মানুষ। তাদের মতে সভ্যতা যত নগরকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে ততই মানুষ লিভ-ইনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতের মত দেশে মুক্ত মনের যাবতীয় আচার-আচরণের সব কিছুই মূলত শহরাঞ্চলে অনুশীলন করা হয়।

গ্রামাঞ্চলে এই সমস্ত ব্যাপার ঘটা শুধুমাত্র দুষ্কর নয়, এক প্রকার অসম্ভব। কারণ আজও গ্রামীণ ভারতের সমাজ ব্যবস্থা অনেকটাই রক্ষণশীল ধাঁচের। কিন্তু হঠাত্‍ যদি আপনাকে বলা হয় এই গ্রামীণ ভারতেরই কিছু জায়গায় লিভ-ইনকে সার্বজনীন মান্যতা দেওয়া হয়, তবে আপনি বিশ্বাস করবেন?

বিশ্বাস করবেন কিনা সেটা একান্তই আপনার বিষয়। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে এই ভারতেরই বেশকিছু গ্রামে লিভ-ইন শুধুমাত্র বৈধ প্রক্রিয়া তাই নয়, পরিবার-পরিজনরা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার জন্য বাড়ির অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের রীতিমতো উত্‍সাহিত করে থাকে!

বরং চোখ কপালে উঠে যাওয়া এই তথ্যটি আরেকটু বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানানো যাক। রাজস্থান এবং গুজরাটের সীমান্ত অঞ্চলে গারাসিয়া নামে একটি উপজাতি গোষ্ঠীকে বসবাস দেখা যায়, যাদের মধ্যে লিভ-ইন সম্পর্ক সবরকমভাবে বৈধ।

রাজস্থানের সিরোহী, পালি, দুঙ্গারপুর, উদয়পুর এই চার জেলায় এবং গুজরাটের বনশকন্ঠ ও সবরকন্ঠ জেলায় এই উপজাতিদের দেখা যায়। এই জেলাগুলির গারাসিয়া প্রধান গ্রামগুলিতে আকছার ছেলেমেয়েদের লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘ এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই উপজাতিদের মধ্যে এইরকম রীতি-রেওয়াজ চলে আসছে। এখানে ছেলে এবং মেয়ের যৌথ সম্মতি থাকলেই তারা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে পারে।

এমনকি প্রয়োজন মনে করলে তারা সেই সম্পর্ক থেকে যখন-তখন বেরিয়ে আসতে পারে। তবে তাদের সম্পর্কের ফলে যদি কোন‌ও সন্তানের জন্ম হয় সেক্ষেত্রে তার দায়িত্ব ওই পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই আজীবন বহন করে যেতে হবে।

এদিকে এই উপজাতি গোষ্ঠীটির মধ্যে বিয়ে করা নিয়ে আরেকটি অদ্ভুত প্রথার প্রচলন আছে। তারা গ্রামে এক বিশেষ ধরনের মেলার আয়োজন করে। ওই মেলায় কোন‌ও পুরুষের যদি নির্দিষ্ট কোনও মহিলাকে পছন্দ হয় তবে তাকে নিয়ে সে পালিয়ে যাবে। এটাই গারাসিয়া উপজাতির বৈশিষ্ট্য।

এরপর সেই যুগল গ্রামে ফিরে এসে একসঙ্গে বিয়ে করে নিতে পারে, আবার লিভি-ইন সম্পর্কে থাকতে পারে। তবে যদি লিভি-ইন সম্পর্কে থাকতে চায় সেক্ষেত্রে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেটির পরিবারকে অল্পকিছু অর্থ যৌতুক হিসেবে প্রদান করতে হবে।

পরবর্তীকালে এই যুগল যদি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তখন ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের পরিবারকে যৌতুক হিসেবে অর্থ প্রদান করতে হবে এবং সেই বিয়ের সমস্ত খরচপাতি ছেলেকেই বহন করতে হবে।

সান নিউজ/এমএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গরুর সঙ্গে শত্রুতা: গোয়ালঘরে কৃষকের গরু জবাই করলো দুর্বৃত্তরা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রাতের অন্ধকারে এক কৃষকের দুটি গরু গোয়ালঘরে জবাই করে...

অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধ মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীরা

দলের অভ্যন্তরীণ বিভেদ ও মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় ঐক্যের স...

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দাঁড়িয়ে তাঁর পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম

শরিফ ওসমান হাদির হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ ৩ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দ...

ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

শরিফ ওসমান বিন হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দ...

সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অব...

সাংবাদিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন কুদরতে খোদা সবুজ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গুণী সাংবাদিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দেশের দশম সংবাদভিত্তি...

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

বাসস: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিয...

প্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রার্থীদের নি...

অথর্ব এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম

শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে সিইসি দায়িত্বে থাকতে পারেন ন...

জাতীয় নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে ঝালকাঠিতে কর্মশালা

ঝালকাঠি জেলার উন্নয়ন ভাবনা এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট কার্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা