আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনে দাভাও দে ওরো প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ সোনার খনিসমৃদ্ধ একটি গ্রামে ওই বিপর্যয়ের পর এখনো ৫১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক হামলায় হতাহত ৬
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সেখানে আর কারও বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর সর্বশেষ ৩ বছর বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে দাবি করেন উদ্ধারকর্মীরা।
দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনা উদ্ধারকারীদের মনে আশা জুগিয়েছে। তবে এখন আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা খুবই ক্ষীণ।
এর আগে গত ৬ ফেব্রয়ারি ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় ভয়াবহ এ ভূমিধস ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩১ জন আহত হন। এখনো অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পিটিআই নেতাকে গুলি করে হত্যা
ভূমিধসে খনি শ্রমিকদের পরিবহনে ব্যবহৃত ৩ টি বাস ও জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৮ জন বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। এ দুর্ঘটনায় গ্রামটির অনেক বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে।
ম্যাকাপিলি আরও জানান, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না বলে ঘোষণা করা হয়। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরও এলাকাবাসীকে এ স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আবারও ফিরে আসে।
সম্প্রতি ফিলিপাইনের এ অঞ্চলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বেড়েছে। ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা ও আশপাশের ৪ টি গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ।
সান নিউজ/এনজে