সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

মরক্কোয় ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ২৯০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিগত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের ব্যবধানে সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যাও আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় ১৫০ প্রাণহানি

প্রাণঘাতী ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর মরক্কোর কিছু অঞ্চলের গ্রামের অধিবাসীরা সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে।

আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে ৬৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

ভয়বহ এই ভূমিকম্পে ক্রমেই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এবং সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তা প্রায় ২৯০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া হতাহতদের উদ্ধারসহ জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য মরক্কোর প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন এবং কাতারের অনুসন্ধানকারী দল।

মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টিভি সোমবার গভীর রাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: সুদানে বিমান হামলা, নিহত ৪০

এছাড়া ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলের বেশিরভাগই দুর্গম হওয়ায় দেশটির কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ মানুষের কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে টিনমেল গ্রামে প্রায় প্রতিটি ঘর ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এবং গ্রামবাসীদের সবাই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। গ্রামের বিভিন্ন অংশে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অসংখ্য মৃত পশুর দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মোহাম্মাদ আলহাসান (৫৯) জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তার ৩১ বছর বয়সী ছেলে বাইরে পালিয়ে যায় এবং তাদের প্রতিবেশীর ছাদ ধসে পড়ায় সেখানে তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ব্যাপক ড্রোন হামলা রাশিয়ার

আলহাসান বলেন, সাহায্যের জন্য চিৎকার করার পর তিনি তার ছেলের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু ছেলের কাছে পৌঁছলেও তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আলহাসান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের বাড়িতেই ছিলেন এবং বেঁচে যান।

আলহাসান বলেন, ‘সে (ছেলে) যদি বাড়ির ভেতরেই থাকত তবে সে ঠিক থাকত।’

টিনমেল এবং অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, তারা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করছেন।

আরও পড়ুন: পুতিনকে গ্রেফতার করা হবে না

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর মরক্কোতে গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্প ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি ছিলো গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মরক্কোতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

সান নিউজ/এমএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান !

নেপালে তীব্র বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা পদত্যাগের পর দেশটিতে অন্ত...

জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শ...

নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ, বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট স্থগিত, হোটেলেই ফুটবলাররা

নেপালে ‎স্থানীয় সময় আজ দুপুর ৩টায় টিম হোটেল থেকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিম...

এলইডি স্ক্রিন চালু, ভোট গণনা দেখছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে...

আগে থেকেই সাদিক কায়েমের ব্যালটে ভোটের অভিযোগ রূপাইয়া’র

ডাকসু নির্বাচনে টিএসসির কেন্দ্রে পূর্বে ক্রস দেওয়া ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা