সান নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে গেলেন কাতারের আমির
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় ৫৩ লাখের মতো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া দুই দেশে ৯ লাখ মানুষের জরুরি গরম খাবার প্রয়োজন। এই ঘটনায় ৮ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। এ ছাড়া এ ভূমিকম্পের পর শতাধিকবার আফটারশকের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
এর আগে, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
সান নিউজ/এনকে