আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ডিসেম্বর থেকে করোনা টিকার উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন : বিএনপি নেতা মকবুল গ্রেফতার
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস নেটওয়ার্ককে কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুনাওয়ালা সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নিজেদের মজুতে থাকা কোটি কোটি টিকার ডোজ অবিক্রিত থাকায় কোম্পানি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি টাইমস নেটওয়ার্ককে বলেন, বর্তমানে আমাদের মজুতে ২০ কোটিরও বেশি টিকা পড়ে আছে, এখনও বিক্রি হয়নি এগুলো। আমরা এমনকি এসব ডোজ বিনে পয়সায় বিতরণ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কারণ, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে এগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : দেশে শিক্ষার মান ভালো
করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। গত বছরের এই সময়ে, অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে ভারতে যখন করোনার সর্বনাশা দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল, সেসময় দেশে যোগান ঠিক রাখতে বাইরের দেশে টিকা রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছিল ভারতের সরকার।
বিশ্বের বৃহত্তম টিকা রপ্তানিকারক দেশটির এই সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। টিকার যোগান বন্ধ থাকায় অনেক দেশের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিও স্থগিত হয়েগিয়েছিল।
ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কেটে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে সংক্রমণ-মৃত্যুর হার কমে আসে। সরকারও টিকার রপ্তানির ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।
আরও পড়ুন : আল-আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান
কিন্তু চীন ব্যতীত বিশ্বের অধিকাংশ দেশ করোনার সঙ্গে সহাবস্থানের নীতি নেওয়া এবং উন্নত দেশসমূহের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করে ফেলায় গত বছরের শেষ থেকে কমতে থাকে করোনা টিকার চাহিদা।
আদর পুনাওয়ালা অবশ্য বলেছেন, ভারতে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়ার মধ্যকার যে বিরতি, তা কমানোর জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
বর্তমানে ভারতের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যকার বিরতি ৯ সপ্তাহ। এই বিরতিকাল ৬ সপ্তাহ করতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে কোম্পানি।
আরও পড়ুন : পবিত্র কোরআন একটি সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা
তিনি আরও জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে অনগ্রসর ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টিকা সহায়তা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে প্রকল্প, সেই কোভ্যাক্সে অবিক্রিত টিকার ডোজসমূহ পাঠানো যায় কিনা, সে চেষ্টাও চলছে।
সান নিউজ/এইচএন