সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৪০ হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটো। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ব্রাসেলসে পশ্চিমা সামরিক জোটের নেতাদের শীর্ষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকের পর জোটের মহাসচিব ইয়েন স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে আরও ৪০ হাজার ন্যাটো সৈন্য পাঠানো হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায় এসব সেনা মোতায়েন করা হবে।
এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কড়া বার্তা দিয়ে ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, তারা দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
ন্যাটোর বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপে বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্টলটেনবার্গের কথায়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে ইউরোপে নিরাপত্তার মানচিত্র আমূল বদলে গেছে।
পশ্চিমা নেতাদের এই বৈঠকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যোগ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে তিনি ন্যাটোর কাছে ‘অবাধ সামরিক সহযোগিতা’ চান। এদিন ফের ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি না জানালেও পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমান ও ট্যাংক চেয়েছেন জেলেনস্কি।
ন্যাটো ইউক্রেনকে এ ধরনের ভারী সমরাস্ত্র দেবে কি না- এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান জোটের মহাসচিব। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ন্যাটো।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আপনারা (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেছেন। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এগুলো শক্তিশালী পদক্ষেপ। কিন্তু একটু দেরি হয়ে গেছে...(আরও কিছু করার) সুযোগ ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সান নিউজ/এনকে