আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ছে শুরু করেছে। এ সুযোগে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের দখল নিচ্ছে তালেবান৷ এরইমধ্যে শতাধিক জেলা তালেবানের দখলে চলে গেছে বলে দাবি করছেন পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
তবে তালেবান বলছে, তারা ৩৪ রাজ্যের প্রায় ২০০ জেলা দখল করেছে, যা দেশটির প্রায় অর্ধেক এলাকাজুড়ে অবস্থিত৷
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি বাগরাম এয়ারবেস থেকে গত সপ্তাহে মার্কিন সেনারা চলে গেছে৷ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছাড়ার কথা৷
জানা গেছে, আফগান বাহিনীর কয়েকজন সদস্য তালেবানের হাতে ধরা পড়েছেন।
তাজিকিস্তানের সীমান্তরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে তালেবানের আগমন বার্তা বুঝতে পেরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ১ হাজারের বেশি সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে তাজিকিস্তানে চলে গেছেন৷
কাতারের দোহায় গত বছর আফগানিস্তান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়৷ বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে তালেবানের অবস্থান ভালো থাকলেও তারা শান্তি আলোচনায় আন্তরিক বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ৷
তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ও প্রক্রিয়ার গতি আরও বাড়বে এবং এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ স্বাভাবিকভাবেই এটা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্ভবত এক মাসের মধ্যে ওই পর্যায়ে পৌঁছা যাবে যখন উভয়পক্ষ তাদের লিখিত শান্তি প্রস্তাব পেশ করবে৷
আলোচনার দিকে নজর রাখা কূটনীতিকরা অনেকদিন ধরেই তালেবানের কাছ থেকে একটি লিখিত শান্তি প্রস্তাব আশা করছেন৷ এখন তালেবানের মুখপাত্র এক মাসের মধ্যে তেমন একটি প্রস্তাব দেওয়ার কথা বললেও তারা আসলেই সেটা দিবে কি-না, তা আশা করা কঠিন বলে মনে করছেন আফগানিস্তানের শান্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিয়া আনোয়ারি৷ তবে তিনি তালেবানের প্রস্তাবটি পাওয়ার আশা করছেন, যেন অন্তত জানা যায় ‘তারা কী চায়’৷
সান নিউজ/এমআর