নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা উৎপাদন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেককে।
বুধবার ( ৬ জানুয়ারি)গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত। তিনি জানান, তারা এই টিকার নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গভ্যাক্স‘।
ডা. আসিফ জানান, যে কোনও ওষুধ উৎপাদনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। গ্লোব বায়োটেককে এই টিকা উৎপাদনের জন্য অনুমতি দিয়েছে অধিদফতর। দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা জন্ম হয়।
এরই মধ্যে বুধবার গ্লোব বায়োটেককে এ অনুমোদন দেওয়া হলো। টিকা উৎপাদনের পর গ্লোব বায়োটেক টিকার ক্লিনিক্যানি ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাবে বলে জানান আসিফ মাহমুদ। গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, গত বছরের ১৮ অক্টোবর প্রাণীর ওপর তাদের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে।
তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সময় গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তারা ৩টি টিকা উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হলো-ডি-৬১৪ ভেরিয়েন্ট এমআরএনএ, ডিএনএ প্লাজমিড ও এডিনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেক্টর।
বিদায়ী বছরের ২ জুলাই থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে আসছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনও প্রতিষ্ঠান এই টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে।
এরপর গত ৮ মার্চ টিকা তৈরির কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায়ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের নাম রয়েছে। যে ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় রয়েছে, তার মধ্যে গ্লোবের ৩টি টিকা রয়েছে।
বিশ্বের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত টিকাসমূহের মধ্যে অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদনের পর্যায়ে রয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এই টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে জি টু জি ফর্মূলায় চুক্তি হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ/এস