ফিচার
বিশ্ব হাসি দিবস

হাসি ফুটুক সবার মুখে-বিশ্ববাসী থাকবে সুখে

মো: আল-আমিন শাওন: ‘বিশ্ব হাসি দিবস’ ‘ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে’ ‘হাসির দিন’ ‘হাসি ফুটুক সবার মুখে, বিশ্ববাসী থাকবে সুখে’ ভালোবাসার-হাসির বন্যায় প্লাবিত হোক মন-প্রাণ; দৃঢ়তায় অটুট থাকুক সুপ্রিয় বন্ধু-বন্ধন।

আরও পড়ুন: শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে গুলি, নিহত ৩১

‘হাসবো নাকো, সহজ সরল মানুষ আমি, জীবন সাদাসিধে, যতই হাসাও হাসব নাতো, হাসলে লাগে খিদে! কার্টুন দেখি টম অ্যান্ড জেরি, কিংবা গোপাল ভাঁড়, কার্টুন আঁকি তবুও আমার, মুখটা থাকে ভার। রম্য লেখা ছড়া পড়েও, হাসি না তো আমি, আমার কাছে হাসির চেয়ে, কান্না বেশি দামি। পণ করেছি হাসব নাকো, দিলেও মোরে ফাঁসি, বউ যদি কয় হাসতে হবে, তবেই শুধু হাসি।’ হা-হা-হা।

বছরের ৩৬৫ দিনে প্রায় সাড়ে চারশ’ দিবস পালিত হয়। এমন অনেক দিবস রয়েছে যার কথা সাধারণ মানুষ জানে না। হাসি দিবসও তেমন। ১৯৯৯ সাল থেকে ‘অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার’ পালিত হয় হাসি দিবস। ১৯৬৩ সালে শিল্পী হারভে রোজ বল হলুদ রঙের বৃত্তের মধ্যে দুটো চোখ আর/হ একটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির মুখের ছবি আঁকেন। যা স্মাইলি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্মাইলির বাণিজ্যিক ব্যবহারে ব্যাপক পরিচিতি পান যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী হারভে। তার চেষ্টায় ১৯৯৯ সাল থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবারটি ‘ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। মুম্বাইয়ের চিকিৎসক ডাক্তার মদন কাটরা বিশ্ব জুড়ে হাসির ব্যায়ামের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে ১০৫ টিরও বেশি দেশে অসংখ্য হাসির ক্লাব আছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে বাংলাদেশে হাস্য উজ্জ্বল ফোরাম (হাইফো) নামে একটি হাসি’র সংগঠন গঠন করা হয়। হাউফো’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হলেন, সাংবাদিক মো: আল-আমিন শাওন এলএল.বি।

আরও পড়ুন: বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬

কখনও কখনও একটা হাসি পুরোটা দিনকে উজ্জ্বল করে দিতে পারে। এ কথাটা হয়তো তোমরা সবাই শুনেছো। তবে এর মানে বেশ গভীর। একটা হাসিমুখের জন্যই আমরা সব ধরণের চেষ্টা করি। যেমন ধরো, সকাল সকাল উঠে পড়তে বসে যাওয়া, যেন মা-বাবা আমাদের উপর খুশি থাকেন। আবার মা-বাবাও সারাদিন কত কষ্ট করেন যেন আমরা হাসিখুশি থাকতে পারি। হাসিমুখ দেখলে, সব কিছু ভালো লাগতে থাকে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে দেখা গেছে হাসলে মানুষের শরীর রিলাক্সড হয়। তার ফলে টেনশন কমে যায়। প্রাণখোলা হাসি হাসতে পারলে টেনশন রিলিজ হয়ে যাওয়ায় হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড সুগার এবং যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাণখোলা হাসি দারুন দাওয়াই। হাসি স্ট্রেস হরমোন কমিয়ে মানসিক চাপ কমাতে খুব সাহায্য করে। শরীরের ক্ষতিকর এন্টিবডি গুলিকে প্রতিরোধ করে। জীবনে হাসির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হাসি মন ভালো করে দেয়। টেনশন কমাতে তাই হাসি চাই। হাসি মানুষকে নীরোগ জীবন দান করে।

আরও পড়ুন: বন্দুক হামলায় মেয়রসহ নিহত ১৮

চার থেকে পাঁচ রকম হাসির ব্যায়াম করা হয়। প্রথমে হাত দুটোকে বুকের সামনে ও পেছনে সঞ্চালন করে পাঁচবার হো-হো, হা-হা করে হাসি। এরপর হাত দুটো মাথার উপর তুলে হো-হো করে হাসি। দ্বিতীয় হাসি খিল খিল করে অঙ্গভঙ্গি করে হাসি। তৃতীয় হাসি জিভ বের করে চোখ দুটো বড় করে হ্যা হ্যা করে হাসি। এতে থাইরয়েড গ্রান্ড এ চাপ পড়ে ও টন্সিল, থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয়। এরপরের হাসি মুখ ফুলিয়ে শব্দ না করে প্রচন্ড হাসি। তারপরের হাসি মুখ খুলে প্রচন্ড জোরে শব্দহীন হাসি। প্রতিটি হাসির একটু প্রাণায়াম করে মনকে স্থির ও শরীরকে বিশ্রাম দিতে হয়। হাসির ব্যায়ামের সঙ্গে বিভিন্ন ফ্রি হ্যান্ড এক্সেসাইজ করতে হয়। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে চতুরঙ্গ ময়দানে প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় নীরোগ হেলথ ক্লাবের পরিচালনায় হাসির ব্যায়াম ও বিভিন্ন প্রাণায়ামে প্রচুর মহিলা পুরুষ নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেন।

আরও পড়ুন: ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

“হাসির দিন” অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার পালন করা হয় বিশ্ব হাসি দিবস হিসেবে। কখনও কখনও একটা হাসি পুরোটা দিনকে উজ্জ্বল করে দিতে পারে। এ কথাটা হয়তো তোমরা সবাই শুনেছো। তবে এর মানে বেশ গভীর। একটা হাসিমুখের জন্যই আমরা সব ধরণের চেষ্টা করি। যেমন ধরো, সকাল সকাল উঠে পড়তে বসে যাওয়া, যেন মা-বাবা আমাদের উপর খুশি থাকেন। আবার মা-বাবাও সারাদিন কত কষ্ট করেন যেন আমরা হাসিখুশি থাকতে পারি। হাসিমুখ দেখলে, সব কিছু ভালো লাগতে থাকে।

হয়তো আজ কারও দিনটা খারাপ ছিল, ছোট্ট একটা হাসি তাকে বেশ প্রশান্তি দিয়ে দিলো। এভাবে কারও সাথে দেখা হলে ছোট একটা হাসি, একটু কথা বলা, অথবা কাউকে একটু সাহায্য করার মাধ্যমে নিজের আসে পাশে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়াই যায়।

সবাই যেন এভাবে হাসি আর ভালোবাসা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারে সে লক্ষে অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার পালন করা হয় বিশ্ব হাসি দিবস। আমাদের ভাষায় হাসি বলতে সব রকম হাসিই বোঝায় তবে ইংরেজি ভাষায় হাসি নানান রকমের হয়, যেমন মৃদু হাসির ইংরেজি হলো- (Smile) স্মাইল, হা-হা করে হাসির ইংরেজি- (Smile) লাগ তবে এ হাসি হল মৃদু হাসি বা মুচকি হাসির দিন ইংরেজিতে যাকে বলে- (Smile) স্মাইল আর কি ! হাসিটা ছোট তবে, এ ছোট্ট হাসিটা বলে দেয় আমাদের সাথে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আর আমরা মন থেকে অন্যের ভালো চাচ্ছি।

এখন মনে তো প্রশ্ন আসছেই এই হাসি দিবস কোথা থেকে এলো? সে এক মজার ইতিহাস। একটা হলুদ রঙের বৃত্তের মধ্যে দুটো চোখ আর একটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির মুখের ছবি তোমরা সবাই দেখেছো। শুধু দুটো বন্ধু আর একটা বক্র রেখা দিয়ে শিল্পী কী সুন্দর করে একটা হাসি মুখ এঁকে ফেলেছেন। হারভে বেল হচ্ছেন সেই শিল্পী যিনি ২৯৬৩ সালে বৃত্তের মধ্যে এই হাসি মুখটা প্রথম এঁকেছিলেন। যেটাকে আমরা স্মাইলি বলে চিনি। এখন এই হাসি মুখের প্রতীকটা এতই জনপ্রিয় যে দেওয়ালের ছবি থেকে আধুনিক ইমোজি সবখানেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে।

সবাই মিলে এই হাসিমুখের ব্যবহার করার ফলে বেল একটু চিন্তিত হতে থাকেন। তাঁর মনে হতে থাকে এই যে সবাই মিলে হাসির প্রতীক হিসেবে অথবা বিজ্ঞাপনের কাজে এই হাসিমুখের বৃত্তটাকে এত ব্যবহার করছে এতে তাঁর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই হাসিমুখের পিছনে থাকা তাঁর মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ করতে হবে। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবারকে ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে বা বিশ্ব হাসি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

হাসি দিবসের দুই বছর না পেরুতেই একটা দুঃখের ঘটনা ঘটে যায়। হাসি দিবসের প্রবর্তক হারভে বেল মারা যান। সালটা ছিল ২০০১। তবে মারা যাওয়ার আগে বেল কাজের কাজটা ঠিকই করে রেখে যান। তিনি নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করে ফেলেন। যাদের কাজ হল তাঁর কথাগুলোকে মানুষকে জানানো। আজকে তোমরা যারা ছোট ছোট তাদের অনেকের ২০০১ সালে জন্মই হয়নি। ফাউন্ডেশন তাদের কাছ পর্যন্ত এই হাসি দিবসের উদ্দেশ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে।

সেই উদ্দেশ্যগুলো খুব মজার মজার। যেমন তুমি কাউকে অল্প একটু সাহায্য করার মধ্যমে তাঁর দিনটাকে সুন্দর করে দিতে পারো। এটাই হাসির শক্তি। প্রত্যেকে একে অন্যকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করলে পৃথিবীটা কতই না সুন্দর জায়গা হয়ে যাবে বলো তো !

এত সুন্দর দিনটাকে তাহলে কীভাবে উৎযাপন করা যায় ? এই সুন্দর দিনটাকে উৎযাপন করতে হলে একদম চোখ কান খোলা রাখতে হবে। খুব ভালো করে আশেপাশের মানুষদের দেখতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, আর চেষ্টা করতে হবে আজকের দিনে যেন তাদের মুখে হাসি ফোটে। এর জন্য সবার প্রতি একটু যতœশীল হতে হবে। যেমন আজ তুমি মাকে তাঁর কাজে সাহায্য করতে পারো। ধরো, নিজের জামা কাপড় গুছিয়ে রাখার সময় ভাই বা বোনেরটাও গুছিয়ে ফেললে। অথবা বইগুলো গুছিয়ে দিলে। শুধু যে মানুষকেই খুশি করতে হবে তাও কিন্তু নয়। চাইলে অন্য প্রাণীকে, পাখি এমনকি একটা গাছকেই খুশি করে দেখো। কত্ত খুশি চারিদিকে উপচে উঠে।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

আজ বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস

সান নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ...

কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও কাতা...

চরাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার চ...

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশবিরোধী একটি...

কাতারের আমির-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাতারের আমির শে...

ট্রাক ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড় জেলার বোদা...

হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: রাজবাড়ী জেলার গোয়...

সাংবাদিকের উপর হামলা মামলায় মাষ্টার জেল হাজতে

ঠাকুরগাও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও প্...

গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিদিনই বাড়ছ...

ফরিদপুরে বিজিবি মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর জেলার ম...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা