পরিবেশ

খাদ্য ও মিঠাপানির সংকটে লোকালয়ে বন্যপ্রাণী

নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা: খাদ্য ও মিঠাপানির তীব্র সংকটে চরের গরু, মহিষ, ভেড়া ছাগল ও হরিণসহ প্রাণ হারাচ্ছে হাজারো বন্যপ্রাণী। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা, তেতুলিয়া ও বঙ্গপোসাগর বেষ্টিত দ্বীপাঞ্চলগুলোর ম্যানগ্রোভ বন জোয়ারের লোনাপানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে সাগরের লোনা পানিতে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চরনিজাম, বেশকিছু চরের ম্যানগ্রোভ বাগান ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের প্রভাবে প্রায় সময়ই তলিয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়ে বন ভোঁদড়, শেয়াল, বানর,বিভিন্ন প্রজাতির গুঁইসাপসহ সরীসৃপ প্রাণী ও চিত্রা হরিণের পাল। বাড়তে থাকা মিঠাপানির এ সংকটে হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী খাদ্য ও মিঠাপানির সন্ধানে চলে আসছে লোকালয়ে। এতে করে প্রতিদিন অসাধু শিকারিদের হাতে মারা পড়ছে হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চরনিজামের লোকালয়ে আসা দুইটি হরিণ ২৭ জুন জীবিত উদ্ধার করে বন বিভাগ। নজরুল নগর থেকেও একটি জবাইকৃত হরিণ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী মেঘনার বেতুয়া এলাকায় ভেসে আসে একটি মৃত হরিণ। বনাঞ্চলের এসব বন্যপ্রাণী ও চরের গৃহপালিত গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগলের জন্যে নেই পর্যাপ্ত মিঠাপানির উৎস।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে মিঠাপানির সংকটে মারা যায় কয়েক শতাধিক গরু ও মহিষ। এসব চর ও বনাঞ্চলে ঝড় জলোচ্ছ্বসের সময়ে বন্যপ্রাণী ও গবাদিপশু পাখির আশ্রয় নেয়ার জন্যেও নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়স্থল।

ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোমেন মিয়া বলেন, বন্যপ্রাণীসহ চরের গবাদিপশুর জন্য বনের মধ্যে স্থায়ীভাবে মিঠাপানির ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় দুর্যোগের সময় বন্যপ্রাণীকে বাঁচানো যাবে না।

ঢালচর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, এসব চরগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার গরু ও মহিষ রয়েছে। প্রতিবছর এসব চর থেকে বিপুল পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। এসব এলাকার গরু মহিষ ও ভেড়া ছাগলের জন্য মিঠাপানির পর্যাপ্ত সংকট রয়েছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, লবণাক্ত পানির কারণে গবাদিপশু ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে খামারিসহ গরু মহিষ পালনকারীরা লোকসানে পড়ছে। দ্রুত মিঠা পানির জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ঢালচর বনবিভাগের রেঞ্জার আতিকুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বনবিভাগের অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে যায়। পানি লবণাক্ত। ফলে প্রাণীগুলো লোকালয়ে ছুটে যায়।

সাননিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদী

কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় বহু সৈন্য প্রাণ হার...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার (...

"আমি এখন আমেরিকা চালাই, পৃথিবীও চালাই" : ট্রাম্পের দাবির তাৎপর্য

সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বিতর্কিত মন্তব্য নতুন...

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা