বিনোদন ডেস্ক: চট্টগ্রাম জলাবদ্ধ হলেই ট্রলের শিকার হন চিত্রনায়ক রিয়াজ। নির্বাচনী এক জনসভায় তিনি চট্টগ্রামকে ইউরোপের সাথে তুলনা করেছিলেন। তারপর থেকেই চট্টগ্রামে পানি জমলে সামাজিকমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন রিয়াজ।
আরও পড়ুন: ডিভোর্স নিয়ে যা বললেন রাজ
নায়ক বলেন, ‘চট্টগ্রাম পানিতে ডুবে গেলেই মানুষ আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে হাতে মাছ ধরায় দেয়। ট্রল করে। এটা আমার কাছে খারাপ লাগে না, ভালোই লাগে। তবে একটা কথা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে এটা করে ঐ মানুষটা যদি আনন্দ পায় তবে পাক। আমি খুব ইতিবাচক মানুষ।’
তিনি বলেন, ‘আমি এ কারণেই এটা বলেছি যে চট্টগ্রাম অনেক ডেভেলপ হয়েছে। চট্টগ্রামে চমৎকার রাস্তা তৈরি হয়েছে, চট্টগ্রামে টানেল তৈরি হয়েছে, কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে। আবার এটা ঠিক যে চট্টগ্রামের অনেক রাস্তা আছে, অনেক এলাকা আছে যেখানে অল্প পানিতে তলিয়ে যায়।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার নিরসনে মেয়রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের কারও কাছেই কাম্য না। আমরা বলি বীর চট্টলা, এটা একটা পোর্ট সিটি। আমাদের যাবতীয় উন্নয়নের সব কিছুই চট্টগ্রাম থেকেই আসে।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুল গেলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা
এ ক্ষেত্রে আমি বলব, সেখানে যারা দায়িত্বরত রয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তরিকভাবে যদি তারা কাজ করেন। আমি দেখেছি চট্টগ্রামে ড্রেনে পড়ে একজন মেয়ে মারা গেছে, যখন একজন মেয়ে ড্রেনে পড়ে মারা যায়, তখন এ কষ্টটা ওর ফ্যামিলির বুকে যতটা লাগে, হয়তো আমার বুকে লাগে না, তারপরও লাগে।
আমি এটা নিয়ে কষ্ট পাই, আমি এটা চাই না। এটা আমাদের কাম্য না। আমি বলব, নিচু অঞ্চলগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে যেখানে দায়িত্বরত আছেন, সিটি মেয়র আছেন, তাদের পজিটিভলি কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিয়ে করলেন রাঘব-পরিণীতি
আগে প্লাস্টিকের বোতল ছিল না, এখন আমরা পানি খেয়ে প্লাস্টিকের বোতল ফেলে দেই, সেসব যায় কোথায়? হাজার হাজার টন প্লাস্টিকের বোতল এসব ড্রেনের মুখে আটকে যায়। তাই এটিও আমাদের জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত, আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।
সান নিউজ/এমএ