বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবি পর্যালোচনা করা হবে’ -এমন আশ্বাসে ঘরে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রোববার (৪ জুন) দুপুর ১ টা পর্যন্ত টানা দেড় ঘণ্টা ইডেন মহিলা কলেজের দুটি গেট অবরোধের পর এ আশ্বাস দেন কলেজটির অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য।
সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবি আমার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়কারী কর্মকর্তা উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন বিধায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পারিনি। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের তিনজন প্রতিনিধিসহ একসঙ্গে বসে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
তিনি বলেন, আমরা চাই যেন কোনো প্রকার জনদুর্ভোগ তৈরি না হয়। আমাদের ছেলে-মেয়েদের সমস্যা আমরাই দেখব। সাত কলেজের শিক্ষক সংকটসহ সমস্যার যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো বরাবরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলছি।
আগামীকাল আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো জানিয়ে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেন, ছাত্র-প্রতিনিধিদের নিয়ে উপ-উপাচার্যের সঙ্গে যতক্ষণ প্রয়োজন আলোচনা করবো। সমস্যার সমাধানে আমরা বদ্ধপরিকর।
অপরদিকে দ্রুত সাত দফা দাবি মেনে না নিলে আবারও আন্দোলনের কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে ছাত্র প্রতিনিধি তছলিম চৌধুরী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাই আমাদের মেগা প্রজেক্ট
তিনি বলেন, আগামীকাল সমন্বয়ক ম্যামসহ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনার জন্য যাব। সেখানে যদি সাতদফা দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে মঙ্গলবার (৬ জুন) পুনরায় আন্দোলন করবো। আমাদের সাত দফা দাবিগুলো হলো —
১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
২) যে সব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন- প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবির ৬ কর্মকর্তার তুরস্ক সফর বাতিল
৩) সব বিষয়ে পাস করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।
৪) বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
৫) সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে/কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির দায়ে অধ্যক্ষ ওএসডি
৬) একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৭) শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সান নিউজ/এইচএন