আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি মিশ্রভাষার শহর। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস রচিত হয়েছে এ শহরে।
দেশপ্রেম ও বাঙ্গালি চেতনা বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে এখানকার কয়েক প্রজন্ম। ভাষা অন্দোলনের পেড়িয়ে গেছে ৬৯ বছর। এখনও নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোনও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। উপজেলা ও পৌর প্রশাসন একে অপরকে দোষারোপের মাধ্যমে বরাবরই দায়িত্ব এড়িয়ে চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, দেশের ব্যতিক্রমী সৈয়দপুর শহর অবাঙালি প্রধান হওয়ায় এখনো বাংলার পাশাপাশি উর্দু ভাষায় মাইকিং, মসজিদে খুতবা, ওয়াজসহ পাড়া-মহল্লায় আলোচনা সভাও হচ্ছে। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও এ শহরে আজও এর পরিপূর্ণ প্রয়োগ লক্ষ করা যায়নি।
শহরের উত্তরকোনে রেলওয়ের এবং পশ্চিমকোনে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের রয়েছে নিজস্ব শহীদ মিনার। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে রেলওয়ের এবং ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্থানীয় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মিত নিজস্ব শহীদ বেদিতে প্রতিবছর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা বছরে কোটি কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেও শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তারা কোনও বরাদ্দ রাখে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে আক্তারুজ্জামানকে বহিষ্কার
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান জানান, এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বিশ্বব্যাংকে দেওয়া আছে। তবে জায়গা পাওয়া না যাওয়ায় শহীদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হচ্ছেনা।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হোসেন বলেন, উপজেলার আগামী মাসিক সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা করে খুব দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ