নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা: কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে হত্যায় ব্যবহৃত এলজি, পাইপগান, ১২টি গুলি, বোমা সদৃশ বস্তু, ব্যাগ ও কালো পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকার বাসিন্দা বেলাল মিয়ার বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ওই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পাশে তিনটি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর তল্লাশি করে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ১৫-২০টি অবিস্ফোরিত বোমা সদৃশ বস্তু, তিনটি কালো ব্যাগ, দুটি কালো জামা ও ১২ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করে পুলিশ।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি সোমবার বিকেলের কিলিং মিশনে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। তবুও আমরা বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখছি। এ ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। তখন পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
এতে কাউন্সিলরের পেটে, বুকে এবং মাথায় তিনটি এবং হরিপদ সাহার পেটে এবং বুকে দুটি গুলি লাগে। এলোপাতাড়ি গুলিতে আরও ৪ জন আহত হন।
পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল এবং হরিপদ সাহা মারা যান। বাকি চারজন কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সান নিউজ/ এমবি