সারাদেশ
পণ্যবাহী ট্রাক সংকট

টমেটোর কেজি ৪, বেগুন ২ টাকা

সান নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে বিপাকে পড়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবজি চাষিরা।

পণ্যবাহী ট্রাক সংকটের কারণে উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন আড়তগুলোতে নিতে পারছেন না চাষিরা। এর ফলে স্থানীয় বাজারে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে যারা কষ্ট করে স্থানীয় আড়ত নিচ্ছেন, ক্রেতার অভাবে তারা সবজি বিক্রি করতে পারছেন না। অবিক্রিত সবজি আবার বাড়িতে নিতে চাইলে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া। তাই নাম মাত্র মূল্যে সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন কৃষকরা।

নীলফামারীর হাটখোলার সবজি চাষি আক্কাছ মিয়া জনান, দুই বস্তা টমোটো বিক্রি করতে বাজারে এনেছেন। পাইকার না পাওয়ায় স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে টমেটো বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। মাত্র ৪টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছে। জানান, এতে তার ভ্যান ভাড়ার টাকাই ওঠেনি। কিন্তু বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলে আবারও ভ্যান ভাড়া গুনতে হতো। এতে লসের অঙ্কটা দ্বিগুন হতো।

আরেক সবজি চাষি ছবদর আলী, বেগুন নিয়ে এসছেন একই বাজারে, তিনি জানান, ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার পাইকার না থাকা মাত্র ২ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করতে বাধ হয়ছেন তিনি। তিনি আরও জানান, পাড়ার আশেপাশের প্রায় সবাই সবজি চাষি। তাই পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি যে বিক্রি করবেন তাও হচ্ছে না। সবারই কমবেশি সবজি ক্ষেত রয়েছে।

একই অবস্থা গাইবান্ধার সবজি চাষিদের। সেখানেও দাম না পেয়ে দিশেহারা চাষিরা। করলা, টমেটো, গাজর, শিম ও মরিচসহ বিভিন্ন সবজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা মন দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কৃষকরা। অথচ এসব সবজি উৎপাদনে তাদের কেজিপ্রতি খরচ পড়েছে ১২ থেকে ২০ টাকা। প্রতি কেজিতে লোকসান গুনতে হয়েছে ৮ থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত।

গাইবান্ধার ফুলছড়ির কৃষক এনায়েত উল্লাহ বাজারে ৮০ কেজি বেগুন এনেছেন। ক্রেতার অভাবে বিক্রি কতে পারছেন না। ২ টাকা কেজি দরে ৬৫ কেজি বেগুন বিক্রি করলেও বাকি ১৫ কেজি বিক্রির জন্য বসে আছেন। ক্রেতা পাচ্ছেন না। এই বেগুন ফেলে দেয়া ছাড়া উপায় দখছেন না তিনি।

করোনা আতঙ্কে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের মিরসরাইতেও ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। স্থানীয় বাজারে নেই ক্রেতা। আর মহাসড়কে গাড়ি না থাকায় সেখান থেকে অন্য বাজারে সবজি নিতে পারছেন না কৃষকরা।

বিক্রি করতে পারবেন না বলে জমি থেকে সবজি তোলছেন না আনেকে। মিরসরাইয়ের প্রতিটি ক্ষেতেই শাকসবজিতে এখনো ভরে হয়ে আছে। ফলে উৎপাদিত সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।

উপজেলার দূর্গাপুরের কৃষক আসলাম উদ্দিন ৫০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। ১০ দিন আগে এই মরিচ পাইকারি বিক্রি করেছেন কেজিপ্রতি ৪০ টাকা। এখন বিক্রি করছেন ২০ টাকা দরে। বাজারে পাইকার আসতে না পাড়ায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের হিসেবে, এবার ক্ষতির মুখে পড়বে উপজেলার ২০ হাজার সবজি চাষি। এ ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এখনই বিকল্প চিন্তা করছেন সবজি চাষিরা।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত 

ভোলা প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহ থেকে...

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ

সান নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ম্যালেরি...

টঙ্গীবাড়ি ভাতিজারা পিটিয়ে মারলো চাচাকে

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

গরমে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখতে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরমকাল এলেই ব্র...

কুষ্টিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় সাংবাদিকের মৃত্যু 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় সড়ক...

গৃহবধূর স্যালোয়ার থেকে ইয়াবা উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর...

কেশবপুরে নির্বাচনী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

আব্দুর রাজ্জাক সরদার, কেশবপুরঃ আগামী ০৮ ই মে ২০২৪, রোজ বুধবা...

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজে...

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দ্বিপক্ষীয় নথি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিশেষ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা