তিন দফা দাবিতে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক আজ রোববারও অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের সেনাবাহিনী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। অবরোধের ফলে বরিশালসহ বিভাগের অপর ৫ জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারসহ বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে সেবার মান নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে গত ২৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে আন্দোলন করছে তারা। আজ রোববার ১৪তম দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। গত ২৭ জুলাই থেকে তারা প্রতিদিন সকাল থেকে ৬-৭ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তিন দফা দাবি হলো, শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের সব হাসপাতালে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, দলীয় লেজুড়বৃত্তিক চিকিৎসকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ডিজিটাল অটোমেশন ও স্বচ্ছ জবাবদিহিমূলক টাস্কফোর্স গঠন; স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনকে জনগণের ভোগান্তির বিষয় শুনে তদন্ত সাপেক্ষে আবার সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অবরোধ ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা নথুল্লাবাদে পৌঁছালে সেনাবাহিনী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। বাঁধা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা জিরো পয়েন্টে বসে পড়ে। এরপর তারা স্লোগান দিতে থাকেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলননের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রেলওয়ের অব্যবস্থানার বিরুদ্ধে একা আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোচিত হওয়া মহিউদ্দিন রণি। তিনি বলেন, আমরা গত ১৪ দিন থেকে আন্দোলন করছি। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু পুলিশ, সেনাবাহিনী আমাদের ওপর বিনা উসকানিতে আক্রমণ করেছে।
সাননিউজ/এসএ