আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বোমাবর্ষণ করে কঙ্গোর ১০ নাগরিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। কঙ্গো সরকার নিজেই এ তথ্য সামনে এনেছে।
আরও পড়ুন : বিশৃঙ্খলা করলে প্রতিহত করা হবে
বুধবার (৭ জুন) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি বলছে, সুদানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনীর হামলায় ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে কঙ্গো সরকার জানিয়েছে। গত রোববার (৪ জুন) বিকেলে খার্তুমের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আফ্রিকাতে সুদানের সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় মারা যান তারা।
কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেটা খুব কষ্ট দেয়, তা হলো- সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী এটা জেনেই বোমা ফেলেছিল যে সেখানে বিদেশিরা আছে।
আরও পড়ুন : জামিন পেলেন ইভ্যালির রাসেল
উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে ৮ সপ্তাহে পা দেওয়া এই লড়াইয়ের জেরে রাজধানী খার্তুমসহ অন্য এলাকায় লুটপাট ও অরাজকতাও ছড়িয়ে পড়েছে। আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর যোদ্ধাদের শহর জুড়ে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ঘাঁটি রয়েছে। মূলত সেগুলো লক্ষ্য করেই সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার প্রবণতা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
রোববারের বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটি এমন একটি এলাকা হতে পারে, যেখানে সংঘাত থেকে বাঁচতে বিদেশি বহু নাগরিক হয়তো আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
জাতিসংঘের শরণার্থী প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে টুইটারে জানান, খার্তুমে হামলায় ১০ জন শরণার্থী মারা গেছেন। অবশ্য এ বিষয়ে বিশদ বিবরণ দেননি তিনি।
আরএসএফ বলেছে, রোববারের ঐ বোমা হামলাটি এমন একটি এলাকায় হয়েছে, যেখানে আফ্রিকান শরণার্থীরা অবস্থান করছিল। তবে হামলায় নিহত কঙ্গোলিজ নাগরিকদের সংখ্যা ২৫ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে এলো পেঁয়াজ
আধা-সামরিক এই বাহিনীটি ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও টুইট করেছে। ভিডিওতে থাকা একজন দুস্থ নারীসহ লোকেরা বলছেন, তার স্বামী হামলায় মারা গেছে, আরবি এবং লিঙ্গালার মিশ্রণে কথা বলছেন। এই ভাষাটি মূলত ডিআর কঙ্গোর পশ্চিমে বলা হয়।
একজন বলেছেন, আমরা কঙ্গোলিজ, এখানে অনেক মানুষ কঙ্গোলিজ। কোথায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?
আরও পড়ুন : ওয়ারীতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৫
কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ লুতুন্ডুলা বলেন, ডিআর কঙ্গো সুদান সরকারের কাছে এ ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং নিহতদের মৃতদেহ বিনা মূল্যে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে আশা করছে। এছাড়া সংঘাতের মধ্যে কঙ্গোলিজ সরকার সুদানি কর্তৃপক্ষকে একটি মানবিক করিডোর খুলতে বলেছে, যাতে হামলায় আহতরা এবং সুদানে এখনও আটকে থাকা অন্যদের সরিয়ে নেওয়া যায়।
তবে এসব বিষয়ে সুদানের সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পড়ুন : সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
গত ১৫ এপ্রিল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সুদানে বসবাসরত কঙ্গোর নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জোরে-শোরে চেষ্টা চলছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কিছু বাস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আফ্রিকা থেকে শিক্ষার্থীদের মিশরীয় শহর আসওয়ানে নিয়ে গিয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাদের কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
সান নিউজ/এনজে