শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই প্রধান সন্দেহভাজন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়েছে—এমন তথ্য বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সামনে এসেছে। তবে ভারতের মেঘালয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এই দাবিকে খণ্ডন করেছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফয়সালকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে পুত্তি ও স্বামী নামের দুই সহযোগীকে ভারতের মেঘালয়ে আটক করা হয়েছে। মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। ৭ জানুয়ারির মধ্যে চার্জশিট চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে।
মেঘালয় অঞ্চলের বিএসএফ মহাপরিদর্শক ওপি উপাধ্যায় বলেন, “এই ব্যক্তিরা হালুয়াঘাট সেক্টর থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে মেঘালয়ে প্রবেশ করেছে—এমন কোনো প্রমাণ নেই। বিএসএফের পক্ষ থেকে এ জাতীয় কোনো ঘটনা সনাক্ত বা রিপোর্ট করা হয়নি। এই দাবিগুলো ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।”
মেঘালয় পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও, রিপোর্টে উল্লেখিত নামের কোনো অভিযুক্তকে গারো পাহাড়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে কোনো প্রমাণ নেই যে সন্দেহভাজনরা মেঘালয়ে অবস্থান করছে।
সাননিউজ/আরপি