নোয়াখালী প্রতিনিধি: টয়লেটে গিয়ে পালিয়ে যান ধর্ষণ মামলার দুই আসামি। এ ঘটনায় নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ৩ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে বলা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাইমুড়ী থানার এসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আসমা আক্তার ও আব্দুল কুদ্দুস।
এদিকে এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা। পুলিশ জানিয়েছে, কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পালানো আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের গাজারিয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়া এলাকায় হাইওয়ে সড়কের পাশে একটি হোটেলের টয়লেট থেকে মো. জুয়েল (২৪) ও মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে ধর্ষণ মামলার দুই আসামির পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আসামি ও ভিকটিমকে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। ফেরার পথে দুপুরের ওই হোটেলে খাবার খেতে নামেন সবাই। এসময় দুই আসামি পুলিশ পাহারায় টয়লেটে ঢুকেন এবং দুজনই টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান।
সাননিউজ/এমআর