নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের দীর্ঘ দিনের দাবী খালেদা জিয়ার মুক্তি। শর্ত সাপেক্ষে এই মুক্তি কিছুটা হলেও জনগণের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি কতটা কাজে দেবে, তাই এখন দেখতে হবে। এ ছাড়া দলের সিদ্ধান্ত আলোচনা করে জানাতে হবে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিএনপি মহাসচিব সরকারের প্রতি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি এ ঐক্য সৃষ্টিতে কোনো কাজে দেবে কি না, প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো কাজে দেবে না। আগেও জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে, তারা সাড়া দেয়নি। এখন শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি কতটুকু কাজে দেবে, তা দেখতে হবে।’
এর আগে বিকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমার কাছে একটা দরখাস্ত করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়ার জন্য। সেখানে বলেছেন লন্ডনে উন্নতর চিকিৎসার জন্য। এরপর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার, তার বোন সেলিমা ইসলাম, তার বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একই বিষয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এবং সেখানেও এই আবেদনের ব্যাপারে কথা বলেছেন। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে এবং উক্ত সময়ে তিনি দেশের বাইরে গমন না করার শর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত কিছুক্ষণ আগে পাঠিয়েছি।'