নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট উৎপাদনের অনুমতি পেল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা টেস্ট কিট তৈরির অনুমোদনের খবর জানান তিনি।
এর আগে সোমবার কিট তৈরির অনুমোদনের জন্য ওষুধ প্রশাসনে আবেদন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কিট বাজারজাত করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন করোনা ভাইরাস শনাক্তের কিট উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। এই কিট তৈরির কাঁচামাল আসবে ইংল্যান্ড থেকে। কাঁচামাল আসলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা প্রোডাকশনে যেতে পারবো। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা বাজারে আসতে পারে। প্রথম দফায় এক লাখ কিট উৎপাদন করা হবে। ১০ লাখ টাকার কাঁচামাল লাগবে। প্রতিটি কিটের দাম হতে পারে ২০০ টাকার মতো। তবে এই কিট সরকারের কাছে বিক্রি করা হবে, জনসাধারণের কাছে নয়।
সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এরইমধ্যে এই কিট এর উৎপাদনের জন্য হাইটেক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এটা করতে রিএজেন্ট লাগে। কেমিক্যাল রিএজেন্টগুলো সহজলভ্য নয়। এগুলো পাওয়া যায় সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানায়, গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেডের গবেষক দল ফেব্রুয়ারি থেকে এই কিটের ডিজাইন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন। এ প্রযুক্তির ব্যাপারে পুরো গবেষক দলের সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. বিজন কুমার শীল, যিনি ২০০৩ সালে সিঙ্গাপুরে সার্স পিওসি কিট তৈরি করা দলের সদস্য ছিলেন। এবার করোনার কিট তৈরির জন্য গঠিত গবেষক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজন কুমার।
এ দলের অন্য সদসস্যরা হলেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রঈদ জমির উদ্দিন এবং ড. ফিরোজ আহমেদ। বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্যে তারা কর্মীদের ইতিমধ্যে ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা শুরু করেছেন।
তারা আরও জানান, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের নিজেদের প্রয়োজনে দ্রুত করোনা ভাইরাসের কিট তৈরি করেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রোগ শনাক্তের জন্য বাংলাদেশে আবিষ্কৃত রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার জন্য নতুন পথ তৈরি করে দেয়াটা খুব জরুরি বলে মনে করে গণস্বাস্থ্য।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুরোধ রয়েছে সরকার যেন জনসাধারণের কাছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় এই টেস্ট ছড়িয়ে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭। এই ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সান নিউজ/সালি
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.