ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
চীনে ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইতালি। প্রথম মৃত্যুর এক মাস না গড়ানোর আগেই ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ছাপিয়ে গেছে চীনকে। অথচ ইতালিতে প্রথম মৃত্যু ঘটেছিল চীনে মৃত্যুর দেড় মাসের বেশি সময় পরে। এদিকে সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্তে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৫ জনে।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪২৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই সংখ্যা নিয়ে ইতালিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার নাগাদ চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪৮ জন। ইতালিতে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৫ জনের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে এখনও ২ হাজার ৪৯৮ রোগী।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের একেবারে শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। অন্য প্রদেশগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার পর ভিন্ন দেশেও ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়।
শুরুতে চীনে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকলেও মাস দুয়েকের মধ্যে তারা পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিতে পেরেছে।
যে হুবেই প্রদেশে থেকে এই ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ঘটেছিল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, সেখানে বুধবার প্রথমবারের মতো কোনো নতুন রোগী পাওয়া যায়নি।
আর গোটা চীনে এদিন নতুন রোগী পাওয়া গেছে মাত্র ৩৪ জন, তারাও বাইরে সংক্রমিত হওয়ার পর চীনে এসেছে বলে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের মোট সংখ্যা এখন ৮১ হাজার ১৭৪ জন। আর দেশটিতে বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র আটজন।
সব মিলিয়ে বিশ্বে এখন নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজারের মতো, আর মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার।
ইউরোপে ইতালির পর স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্সেও রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। স্পেনে রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে, জার্মানিতে তা ছুঁইছুঁই, ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত এখন ১০ হাজারের বেশি।
ইউরোপের পর এশিয়ায় নভেল করোনাভাইরাস বড় বিপর্যয় আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ১৭ জন রোগী ধরা পড়েছে, যার মধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটেছে। ভারতে ১৭৩ রোগী শনাক্তের মধ্যে মৃত্যু ঘটেছে চারজনের। পাকিস্তানে আক্রান্তে এখন ৪৩৫ জন, মারা গেছে দুজন।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.