নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে গরুর মাংসসহ মুরগি, মাছ, ডিমের দাম কমেছে। দীর্ঘ সময় পরে এই নিম্নমুখী প্রবণতায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতা। এখনো বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চাল চিনি আটা ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো।
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা মালিবাগ ও মগবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। একই সঙ্গে শীতের সবজিও অনেকটা ক্রেতাদের নাগালে।
বাজারে মোটা চালের দাম আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সবধরনের চালের দর কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়েছিল, এখনও সে দরেই বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। এখন ক্রেতাকে খোলা আটা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮-৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার দাম ৫৫-৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০-৬৫ ও প্যাকেট আটা ৬৫-৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আয়কর দাখিলের সময় বাড়ল
দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ বাজারে নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা।
বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তির বাজারে ক্রেতাদের টানছে গরুর মাংস। এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনো আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০-১৭৫ ও সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০-২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১১০-১২০ টাকার মধ্যে।
বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। তাছাড়া মাংসের দামও কমার প্রভাব পড়েছে মাছের দামে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি করা হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা। মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে। চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। এখনও প্রতি কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৭০০-১০০০ টাকা।
অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে ১ম বারের মতো বাংলাদেশে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি ডিমের দাম খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১২টাকা করে নির্ধারণ করা হয় সে সময়, যখন বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম সাড়ে ১৩ টাকা ছিল। এরপর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ১ম ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। এখন ক্রমাগত কমে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
পাড়া মহল্লার দোকান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড় বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১২০ টাকায়। প্রতিটি ১০ টাকা পিস। পাইকারিতে দরদাম করে ১১৫ টাকাও কেনা যাচ্ছে। পাড়া মহল্লার একদম খুচরা দোকানে এখনো বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত।
ট্রেডিং কর্পোরেশন আব বাংলাদেশের তথ্য বলছে, গত একমাসে বাজারে ডিমের দাম সাড়ে ২১ শতাংশ কমেছে। গত মাসে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৫০-৫২ টাকা, যা এখন ৩৭-৪৩ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
সান নিউজ/এএ