নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে অনেক লোকজন ও ডাক্তারের যাতায়াত থাকলেও তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
রবিবার (২৯ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস মিলনায়তনে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে এবং তার নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনেক বড় মন্ত্রণালয়। এখানে অনেক লোকজনের আসা-যাওয়া আছে। অনেক ডাক্তারও আসা-যাওয়া করে। আমরা কাজ করি। তাদের কারো হতে পারে। সেটা তো আছেই। আমি করোনা ভাইরাসে নিজে আক্রান্ত নই। আমি সেটা টেস্টও করে এসেছি। কোয়ারেন্টিনে আছি সেটা বলবো না।'
করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৫শ ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে। বেশকিছু স্থাপিত হচ্ছে। আরো সাড়ে ৩শ আসছে। প্রাইভেট সেক্টরে ৭শ ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, 'ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ আছে। যেখানে ১০টি আইসিইউ আছে সেখানে আমরা তিনটি করোনা রোগীর জন্য বন্ধ রাখতে বলেছি।'
বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণে বাধা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, 'আকিজ গ্রুপ একটি ভবন তৈরি করে দিতে চায়, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এতে এলাকার মানুষের সুবিধা হবে। আর এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সহনশীল হওয়া উচিত।'
দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে মারা যাচ্ছেন। এ বিষয়ে অনেক সময় সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'এ ধরনের অবহেলা হয়ে থাকলে তা অবশ্যই অপরাধ হয়েছে। যা কোনো মতেই কাম্য নয়।'
সাধারণ ছুটি শেষে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আগামী ৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক। বর্তমান প্রেক্ষাপটের অবস্থা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারো দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। একই সঙ্গে কারও মৃত্যুও হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.