নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ পঁচিশে বৈশাখ, বাংলা সাহিত্যের অনন্যপ্রতিভা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। ১৫৯ বছর আগের ঠিক এই দিনেই রবিঠাকুর প্রথম আলোকিত করেন কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি।
তার লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্যের সব কটি ধারা। কবিগুরুর হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। এরপর গান-কবিতায় তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মূলত সে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যকে।
রবীন্দ্রনাথ বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বচরাচরের অংশ হিসেবে বিশ্বাস করতেন। বাঙালির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘তুমি নিছক বাঙ্গালী নও, তুমি বিশ্ব চরাচরের অংশ।’ সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রেমের মধ্যে বাঁচতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে যুক্ত করতে বলেছেন- প্রাণীজগৎ, নিসর্গ, প্রকৃতিকে । শুধু তাই নয়, শিল্পের জগত, কল্পনার জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের বিস্তার ঘটাতে বলেছেন । পাশাপাশি কাজ করেছেন কৃষক ও জনমানবের জন্যও।
রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলী রচনা করে ১৯১৩ সালে পান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। যার অর্থ দিয়ে তিনি এ দেশে শাহজাদপুরের দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দেওয়ার উদ্দেশে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক। গড়ে তোলেন শান্তিনিকেতন।
আবার রাজপথে নেমে এসেছেন। করেছেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে। পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছুড়ে ফেলেন ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া ‘নাইটহুড’ উপাধিও।
এদিকে চলমান মহামারি করোনার কারণে জনসমাগম এড়াতে এবছর দিনটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কবিগুরুকে স্মরণ করতে সরকারিভাবে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
আজ (৮ মে) সকাল ১০টায় বিটিভিতে এটি দেখানো হয়। এটির সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
ধারণকৃত বিশেষ অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক বিদ্যাপীঠ ছায়ানটেও। প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় একটি ভিডিও অনুষ্ঠান প্রচার করে তারা। ‘ওই মহামানব আসে’ শিরোনামের এ আয়োজনটি গ্রন্থনা করেন ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন। দেখানো হচ্ছে ছায়ানটের ওয়েবসাইটে।
সান নিউজ/ আরএইচ
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.