ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণের শুনানির ঠিক আগে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ দাবি করলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী এডওয়ার্ড ফিতজগ্যারাল্ড আদালতকে জানান, শর্ত দেয়া হয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ইমেইল ফাঁস করার ব্যাপারে রাশিয়ার কোন হস্তক্ষেপ ছিল না এই তথ্য দিলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
এডওয়ার্ড ফিতজগ্যারাল্ড বলেন, ২০১৭ সালে সাবেক মার্কিন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ডানা রোহরাবাচের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই রোহরাবাচের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে জানান, শর্ত সাপেক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ক্ষমা করে দেবেন। এ বিষয়ে সাক্ষী রয়েছে বলেও দাবি করেছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী। সাক্ষী হাজির করতে এরই মধ্যে অনুমতি দিয়েছেন জেলা জজ ভেনিসা।
তবে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ । এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানেন, ডানা রোহরাবাচের শুধু একজন সাবে কংগ্রেস সদস্য, এই ছাড়া তিনি আর কিছুই জানেন না। আর তার সঙ্গে শুধু এ বিষয়েই নয়, কোনো বিষয়েই কখনো কোনো ধরনের কথা হয়নি। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বার্তা ফাঁসের অভিযোগে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৭৫ বছরের কারদণ্ড হবে অ্যাসাঞ্জের। ২০১২ সালের জুন মাসে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি। সেই থেকে দূতাবাসের ভেতরেই অবস্থান করছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.