স্বাস্থ্য

চীনা ভ্যাকসিনে মিলেছে ‘প্রাথমিক সাফল্য’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রাণঘাতী করোনার একটি সম্ভাব্য টিকা চীনা নাগরিকদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, টিকাটি মানুষের শরীরে নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম।

কানাডার সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, চীনের পর এবার দ্বিতীয় দফায় তাদের দেশের নাগরিকদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, চীন ও কানাডা ওই ভ্যাকসিন উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করছে।

শুক্রবার (২২ মে) মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানচেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে চীনের ক্যানসিনো বায়োলোজিকস-এর সূত্র অনুযায়ী তৈরি ওই টিকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। উহানের ১০৮ জন বয়স্ক মানুষের ওপর প্রাথমিকভাবে ওই টিকা প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে করোনা নিষ্ক্রিয়করণ এন্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং দেহের টি-সেলে সাড়া মিলেছে।

টিকাটি ২৮ দিন পর দেহকে প্যাথোজেন বা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে বলে আলামত মিলেছে। তবে এর সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইনজেকশানের জায়গায় কিছুটা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা।

সিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ কানাডার ডালহাউজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টিকাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চান। কানাডায় সম্ভাব্য এ টিকার প্রথম ক্লিনিকাল পরীক্ষা হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১০০ মানুষের ওপর। এরপর ৬৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সীদেরকেও পরীক্ষার আওতায় নেওয়া হবে। মোট ৫০০ মানুষের ওপর পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এটি একটি সম্ভাব্য প্রতিশ্রুতিশীল টিকা। তবে টিকাটি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

হ্যালিফিক্সে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ভ্যাকসিনোলজির গবেষক ডা. জোয়েনে ল্যাঞ্জলে বলেন, ‘ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল অব কানাডা চীনের ক্যানসিনোর সঙ্গে যৌথভাবে এই টিকা নিয়ে কাজ করছে। এটি নির্ভরযোগ্য প্রমাণিত হলে তা কানাডার সরবরাহ করা যাবে।’

জোয়েনে বলেন, ‘আমরা যেহেতু কানাডার মাটিতে টিকাটি উৎপাদন করবো, সুতরাং এটি আমাদের সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তরুণ প্রজন্ম কোন নির্বাচনী ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, "আমরা কোন দলের...

২১ বছর ধরে শিশুশিক্ষায় তালপাতার পাঠশালা

শিশুশিক্ষার হাতে খড়ির প্রচলন হিসেবে একটা সময় ছিলো তালপাতার প্রচলন। আর লেখনী হ...

সুন্দরবনের উপকূলে বিলুপ্তির পথে মাটির মটকি

গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্ব ঐতিহ...

সুন্দরবনের উপকূলে ইলিশের সুবাস

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্য ভান্ডার...

নিখোঁজের দুইদিন পর খালে মিলল প্রতিবন্ধী শিশুর মরদেহ

সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা খাল থেকে ওই শি...

হেলমেট-মাক্স ঢেকে নিষিদ্ধ আওয়ামিলীগের ঝটিকা মিছিল

মানিকগঞ্জে হেলমেট-মাস্কে মুখ ঢেকে আবারো প্রকাশ্যে ঝটিকা মিছিল করেছে কার্যক্রম...

গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক পরিবেশ বিনষ্ঠের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক...

বাঁশ ও বেত শিল্পে ধ্বস

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্...

তপু ও ধলা পাহাড়ের হৃদয়স্পর্শী সম্পর্ক

বাগেরহাটের ঐতিহাসিক খানজাহান আলী (র:) মাজারের দিঘিতে থাকা কুমিরের সম্পর্কে। ম...

লক্ষ্মীপুরে আরএসডি'র কর্মকর্তাদের জাগ্রত করতে প্রতীকী জানাযা

লক্ষ্মীপুরে খানাখন্দভরা সড়কগুলো মেরামতের উদ্যােগ না নেওয়া এবং সড়ক ও জনপদের ঘু...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা