নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানের সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে তাদের ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
তবে তারা পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদের পাশের ইভ্যালির অফিসে থাকা লকার দুটি কমিটির লোকজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ইভ্যালি কার্যালয়ের বাইরে নিয়ে গ্যাস ঝালাই মেশিন দিয়ে কাটা হয়। দুটি লকারের মধ্যেই বিভিন্ন ব্যংকের অসংখ্য চেকবই পাওয়া গেছে। তবে নগদ টাকা বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি।
তাছাড়াও লকারগুলো ভাঙার সময় ধানমন্ডিতে ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এসময় উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকর্মীদের জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য আদালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কারাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড কমিটি পায়নি। এ কারণে লকারগুলি ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য পাঁচ সদস্যের বোর্ড আজ ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন।
সাননিউজ/জেএস